এটুকু বলেই থেমে থাকলেন না। অপ্রস্তুত হয়ে পড়া খুশদিল শাহর দিকে তাকিয়ে বাবর বললেন, ‘আসো…!’ ব্যস, বদলে গেল ম্যান অব মাচ। এটা স্রেফ সৌজন্যতার বদল নয়, অফিসিয়ালিই ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিলেন খুশদিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বুধবার মুলতানে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৩০৬। বাবর আজমের সেঞ্চুরি দলকে এগিয়ে নেন লক্ষ্যের দিকে। ওয়ানডেতে যেটি ছিল তার টানা তৃতীয় ও ক্যারিয়ারের সপ্তদশ সেঞ্চুরি।
তবে বাবর আউট হওয়ার সময় ৫৯ বলে ৬৯ রান লাগত পাকিস্তানের। পরে সেই সমীকরণ কঠিন হতে থাকে। ৬১ বলে ৫৯ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৪ রানের। ম্যাচের ভাগ্য তখন দুলছে।
৪৭তম ওভারে রোমারিও শেফার্ডের বলে টানা তিন ছক্কা মেরে ম্যাচ আবার নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন খুশদিল। পরে আরেক প্রান্তে আউট হয়ে যান শাদাব খান। শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের দরকার পড়ে ২১ রান। তখন সেই শেফার্ডকেই একটি করে ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে দেন খুশদিল।
২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৪১ রান করে। ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
ম্যাচের পর খুশদিলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ছিল বাবরের কণ্ঠে, “খুশদিল যেভাবে শেষ করেছে, তা অসাধারণ।”
খুশদিল বললেন, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার সুফল পেয়েছেন তিনি।
“আমার পরিকল্পনা ছিল, খেলাটা শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়া। এরপর যেটাই হোক না কেন, নিজের শথভাগ ঢেলে দেওয়া। গত দুই বছর ধরে আমি পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছি। আগে লেগ স্টাম্পেই খেলতাম শুধু, এখন অফ স্টাম্পের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি।”
“(সিরিজের আগে) ১০-১২ দিনের যে ক্যাম্প ছিল, সেখানে কোচরা সহায়তা করেছেন ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে। পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি এক-দুই রান নিতেও শিখছি। বড় শট খেলি কেবল নিজের জোনে পেলেই।”
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।