২০২১ আইপিএলে গতির ঝলক দেখিয়ে নজর কাড়ার পর ২০২২ আসরে উমরানকে ৪ কোটি রুপিতে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের সেই আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দেন উমরান। এবারের আসরে ১৪ ম্যাচে তার শিকার ২২ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, গতি দিয়ে তিনি তোলপাড় করে তোলেন এবারের আসর।
নিয়মিতই ১৫০ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়ে যান তিনি এবার। ১৪ ম্যাচের সবকটিতে জিতে নেন ম্যাচের দ্রুততম বোলারের পুরস্কার। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও পান ২২ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার।
আইপিএল মাতিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। তার মাঝে ভবিষ্যতে ক্রিকেট বিশ্ব কাঁপানো ফাস্ট বোলারের ছবি দেখছেন অনেকে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উমরান বললেন, তিনি ও তার পরিবার সবসময় আগের মতোই থাকবে।
“গত ৭০ বছর ধরেই এটা আমাদের পারিবারিক ব্যবসা। আমার দাদা, বাবা, চাচারা এই কাজ করে আসছেন বছরের পর বছর। আমি ভারতের হয়ে খেলছি মানে এই নয় যে আমার বাবা কাজ করা বাদ দেবেন। বাবা আমাকে সবসময় বলেন যে, আমরা যেখান থেকে উঠেছি, সবসময় সেখানেই থাকব।”
“আমি খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তবে আমি খুবই খুশি যে বাবাকে গর্বিত করতে পেরেছি।”
শুধু বাবা নয়, ফাস্ট বোলার হয়ে ওঠার পথে মায়ের অবদানের কথাও বললেন উমরান। দুরন্ত শৈশবে যখন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ঘরের জানালা ভেঙে ফেলতেন, তখনও মা তাকে বকা না দিয়ে উৎসাহ দিতেন।
“ছেলেবেলা থেকেই ফাস্ট বোলিং করতে ভালো লাগে আমার। যখন ছোট ছিলাম, বাড়িতে প্লাস্টিকের বল নিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। তখন জানালার কাঁচ ভেঙে ফেললে অনেকেই বকা দিতেন। কিন্তু মা তখনও খেলা বন্ধ করতে বলেননি, বরং বলতেন, ‘খেল, ভেঙে ফেলো।”