প্রচুর অনুশীলন করে সফল রাজিথা

চোটের জন‍্য ম‍্যাচের আগে ছিটকে গেছেন কয়েকবার। ম‍্যাচের মাঝপথ থেকেও ছিটকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে একবার। হাল না ছেড়ে করে গেছেন কঠোর পরিশ্রম। এক দিকে চলেছে বোলিং আরও ধারাল করার কাজ, আরেক দিকে চলেছে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। সবকিছু সফলভাবে করেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দ‍্যুতিময় কাসুন রাজিথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2022, 04:05 PM
Updated : 24 May 2022, 04:11 PM

এই সিরিজে হয়তো তার খেলাই হতো না। প্রথম টেস্টে শরিফুল ইসলামের বল আঘাত হানে বিশ্ব ফার্নান্দোর হেলমেটে। পরে তার কনকাশন সাব হিসেবেই মাঠে নামেন রাজিথা। প্রথম ওভারেই নেন উইকেট! পরে নেন আরও তিনটি। সব মিলিয়ে ৬০ রানে ৪ উইকেট ছিল তার ক‍্যারিয়ার সেরা বোলিং।

সেটা ছাপিয়ে গেলেন মিরপুরে। এখানেও প্রথম ওভারে পান উইকেট। পরে আরও দুই উইকেট নিয়ে নতুন বলে কাঁপিয়ে দেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় দিন সকালে আবার ধরেন জোড়া শিকার। সব মিলিয়ে ৬৪ রানে নেন ৫ উইকেট।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়ে ভীষণ খুশি রাজিথা। বাংলাদেশকে চারশর আগেই থামিয়ে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা এই পেসার বললেন, এটা তার কঠোর পরিশ্রমের ফল। 

“ক‍্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের জন‍্য আমি খুশি। আমার মনে হয়, মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করেছি। দুই ম‍্যাচেই ঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করেছি। আমার মনে হয়, আজ আমি ভালো করেছি।”

“ফিজিও ও ট্রেনারের সঙ্গে আমি প্রচুর অনুশীলন ও পুনর্বাসনের কাজ করেছি। অতীতে আমি অনেক চোট সমস‍্যায় ভুগেছি। তাই গত আঠারো মাসে আমি পুনর্বাসন নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। আমি মনে করি, সে কারণে আমি এখানে এবং ভালো পারফরম‍্যান্সও করছি।” 

২ উইকেটে ১৪৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। রাজিথা মনে করেন, তৃতীয় দিন বাংলাদেশের স্পিনাররা কিছুটা সহায়তা পেতে পারেন উইকেট থেকে। 

“চট্টগ্রামের উইকেট কিছুটা শক্ত ছিল। ঢাকার উইকেট একটু নরম। এটা কিছুটা মন্থরও, তবে ঢাকায় কিছুটা সিম মুভমেন্টও মিলেছে। পেসারদের জন‍্য যা ভালো।”