৫০০ ছুঁয়েও রেকর্ড গড়া হলো না মুশফিক-লিটন জুটির

রেকর্ড ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বে। তবে সেই অভিযান থেমে গেল ৫ বল পেছনে থেকেই। বাংলাদেশের তৃতীয় জুটি হিসেবে ৫০০ বল খেলা হলো মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড হলো না লিটনের বিদায়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2022, 06:22 AM
Updated : 24 May 2022, 08:16 AM

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে কাসুন রাজিথার বলে লিটন আউট হয়ে যান ১৪১ রান করে। মুশফিকের সঙ্গে তার ম্যারাথন জুটি থামে ২৭২ রানে। প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত ৫১৩ বল খেলেছে এই জুটি। বল খেলার হিসেবে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় দীর্ঘতম জুটি।

আর স্রেফ একটি বল খেললেই এই জুটি স্পর্শ করতে পারত মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে এই দুই বাঁহাতির ২৪২ রানের জুটি এসেছিল ৫১৪ বল খেলে।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলা জুটির রেকর্ডে অবশ্য মুশফিকের অংশীদারী আছেই। প্রতিপক্ষ এখানেও শ্রীলঙ্কা। ২০১৩ সালে গলে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ২৬৭ রানের জুটিতে বল লেগেছিল ৫১৮টি। এবার সেই রেকর্ড ভাঙার পথে অটল ছিলেন মুশফিক, কিন্তু কাছে গিয়েও পারলেন না লিটন।

বাংলাদেশের আর কোনো জুটি ৫০০ বল খেলতে পারেনি। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নাফিস ইকবাল ও জাভেদ ওমর ১৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন ৪৯৮ বল খেলে।

রানের হিসেবেও মুশফিক-লিটনের জুটি টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২৭২ রানের এই জুটির ওপরে থাকা দুটি জুটিই তিনশ ছাড়ানো।

মুশফিকের নাম আছে এখানেও রেকর্ড গড়া জুটিতে। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে সাকিবের সঙ্গে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি পঞ্চম উইকেটে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১২ রানের জুটি তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় এই জুটি গড়েছিলেন তারা ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে। টেস্টে কোনো দলের দ্বিতীয় ইনিংসে যা টেস্ট ইতিহাসের প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র তিনশ রানের উদ্বোধনী জুটি।