হজ করার জন্য কোনো দলেই নেই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে আর নেই কেবল মাহমুদুল হাসান জয়। কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝ পথে দেশে ফেরা গতিময় পেসার তাসকিন আহমেদ আছেন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে। তবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়নি তাকে। বাদ পড়েছেন বাজে সময় কাটানো বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
আঙুলের চোটে আপাতত মাঠের বাইরে থাকলেও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ জায়গা পেয়েছেন ওয়ানডে দলে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসরটা স্বপ্নের মতো কেটেছে এনামুলের। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের কোনো টুর্নামেন্টে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৮১.২৮ গড়ে এই ওপেনার করেন ১ হাজার ১৩৮ রান। তিন সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি নয়টি।
১২টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা এনামুল ক্যারিবিয়ানে সুযোগ পাবেন বলে আগেই বলেছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। এনামুল দেশের হয়ে সবশেষ ওয়ানডে খেলেন ২০১৯ সালে, বিশ্বকাপের পরপরই হওয়া শ্রীলঙ্কা সফরে। তার ১৩ টি-টোয়েন্টির সবশেষটি খেলেছেন বেশ আগে, ২০১৫ সালে।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ৭ ফিফটিতে ৭ গড়ে ৬৫৮ রান করে তিনি ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অফ স্পিনে ৩২.৬২ গড়ে নেন ১৬ উইকেট। সেরা ৪/৪০।
গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে সবশেষ ওয়ানডে খেলেন মোসাদ্দেক। পরের মাসে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝ পথে চোট পাওয়ার পর দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ। ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচে ২৬.৮৬ গড়ে তিনি মেম ২২ উইকেট, স্থানীয় পেসারদের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। আবাহনীর হয়ে ব্যাট হাতেও ভালো করেন। শেষর দিকে প্রায়ই মেটান দ্রুত রান তোলার দাবি। ১১ ইনিংসে ১১২.৫০ স্ট্রাইক রেট ও ৬৭.৫০ গড়ে করেন ২৭০ রান।
প্রিমিয়ার লিগে ফিনিশারের ভূমিকায় সোহান ছিলেন দুর্দান্ত। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রাখা এই কিপার ব্যাটসম্যান ৮ ম্যাচে ৯৬.৬০ গড়ে এক সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে করেন ৪৮৩ রান।
ক্রিজে সময় নিয়েছেন, পরিস্থিতি বুঝেছেন, ম্যাচ গভীরে নিয়ে গেছেন। এরপর চড়াও হয়েছেন বোলারদের ওপর। উদ্ভাবনী শটের পেছনে ছুটেননি এবার। গিয়েই বড় শট খেলে চাপ কাটানোর চেষ্টায় যাননি। চাপ হজম করেই নিজের ব্যাটিং নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। তিনি পেয়েছেন প্রাপ্য ডাক।
সফরের সূচি এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করা হলেও তিন সংস্করণে খেলতে আগামী ৫ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজে রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, এনামুল হক।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।