১০ ছক্কা ও ১০ চারে ডি ককের বিধ্বংসী ইনিংস

আউট হতে পারতেন ৬৮ রানে। ক্যাচ নিতে পারলেন না উইকেটকিপার। জীবন পেয়ে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন কুইন্টন ডি কক। চার-ছক্কার ঝড় তুলে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2022, 03:57 PM
Updated : 18 May 2022, 06:54 PM

আইপিএলে বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস শুরু করে ৭০ বলে অপরাজিত ১৪০ রান করেন ডি কক। যেখানে ছক্কা-চার সমান ১০টি করে।

অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তিনি গড়েন অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের উদ্বোধনী জুটি। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি এটিই। একই সঙ্গে এই প্রথম কোনো দল আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলল কোনো উইকেট না হারিয়ে।

আইপিএলে যেকোনো উইকেটে তৃতীয় সেরা জুটি এটি। উদ্বোধনী জুটিতে আগের সেরা ছিল ১৮৫, ২০১৯ আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে গড়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার।

ডি ককের সঙ্গী রাহুল এ দিন ৫১ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে করেন ৬৮ রান।

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই স্পোর্টস একাডেমি মাঠে লক্ষ্ণৌ ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। প্রথম দুই ওভারে ডি ককের ব্যাট থেকে আসে দুটি চার। প্রথম ছক্কাটি তিনি হাঁকান তৃতীয় ওভারে, উমেশ যাদবকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে।

এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। ফিফটি তুলে নেন তিনি ৩৬ বলে। তখন পর্যন্ত যদিও ছক্কা ছিল মাত্র ২টি।

পঞ্চদশ ওভারে সুনিল নারাইনের বলে উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ নিতে পারেননি স্যাম বিলিংস। পরের ওভারে আরেক স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে হাঁকান দুটি ছক্কা।

১৭তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে ছক্কা-চারে সেঞ্চুরি হয়ে যায় তার ৫৯ বলে। পরের ওভারে টানা তিনটি ছক্কা মারেন টিম সাউদিকে। আর শেষ ওভারে রাসেলকে টানা চারটি চার মেরে দলের স্কোর পার করেন দুইশ।

৯ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে এটি ডি ককের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটি করেছিলেন ২০১৬ সালে, তখনকার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ৫১ বলে ১০৮।

টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা ছিল অপরাজিত ১২৬, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে লায়ন্সের হয়ে কেপ কোবরাসের বিপক্ষে।

চলতি আইপিএলে বেশ ভালো ছন্দে আছেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে করেছেন ৫০২ রান। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৪০।