এপ্রিলের সেরা বাংলাদেশকে হারানোর কারিগর মহারাজ

বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পথে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল কেশভ মহারাজের। সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার এবার পেলেন আরেকটি স্বীকৃতি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সম্মাননা উঠল তারই হাতে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2022, 09:16 AM
Updated : 9 May 2022, 09:16 AM

এপ্রিল মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম সোমবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। গত মাসে কেবল একটি ম্যাচ খেলেই মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে ১২.১২ গড়ে মহারাজ নেন সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট। ৭টি করে উইকেট নেন দুই বার, দুবারই দ্বিতীয় ইনিংসে। এছাড়া দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতেও দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি। খেলেন ৯৫ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। দুই টেস্টেই ম‍্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মহারাজ।

সেরার লড়াইয়ে মহারাজের প্রতিপক্ষ ছিলেন তারই সতীর্থ অফ স্পিনার সাইমন হার্মার ও ওমানের ওপেনার জাতিন্দার সিং। দুইজনকে টপকে সেরার স্বীকৃতিটি নিজের করে নিলেন মহারাজ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জিতিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে এপ্রিলের সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন হিলি। তার সেরা নির্বাচিত হতে যথেষ্ট হলো ওই একটি ইনিংসই।

ফাইনালে ইংল্যান্ডের বোলিং গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার খেলেন ১৩৮ বলে ২৬ চারে ১৭০ রানের ইনিংস। ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড এটি।

দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে মেয়েদের ক্রিকেটে দুই বার মাস সেরা হলেন হিলি। প্রথমবার জিতেছিলেন গত বছরের এপ্রিলে।

হিলির সঙ্গে সেরার লড়াইয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার ও উগান্ডার অলরাউন্ডার জ্যানেট এমবাবাজি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান কিপার-ব্যাটারের সঙ্গে পেরে উঠলেন না তারা।

গত বছর থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।