আবার ক্রিকেট খেলতে না পারার ভয়ে ছিলেন আর্চার

চোটে বারবার ছিটকে গেছেন মাঠের বাইরে। তিন দফা যেতে হয়েছে শল্যবিদের ছুরি-কাঁচির নিচে। জফ্রা আর্চারের মনে তাই বাসা বেঁধেছিল ভয়- আর যদি ক্রিকেটে ফেরা না হয়! তবে কঠিন সেই সময় পেরিয়ে আবার মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ইংল্যান্ডের গতিময় এই পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2022, 03:50 PM
Updated : 5 May 2022, 03:50 PM

২৭ বছর বয়সী আর্চার গত বছরের মার্চে ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেননি। এই সময়ে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে তিনটি- কাঁচের টুকরো বের করার জন্য হাতে একটি এবং দুটি কনুইয়ে।

গত বছরের মে মাসে কনুইয়ে প্রথম অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরে সাসেক্সের হয়ে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে একটি ও রয়্যাল লন্ডন কাপের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন তিনি। কিন্তু আবার বেঁকে বসে কনুই, ডিসেম্বরে অস্ত্রোপচার করাতে হয় আরেক দফা।

পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ক্যারিবিয়ানে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের সময় বারবাডোজে অনুশীলন করেন তিনি। চলমান আইপিএলের নিলামে ৮ কোটি রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে দলে টানলেও সেখানে খেলা হচ্ছে না তার। আগামী ২৬ মে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সাসেক্সের প্রথম ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরার আশা করছেন তিনি।

ডেইলি মেইলে বুধবার নিজের লেখা কলামে আর্চার তুলে ধরলেন, বারবার অস্ত্রোপচারে কতরকম ভাবনা পেয়ে বসেছিল তার মনে।   

“এমন পরিস্থিতিতে, যখন অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য হতে হয়, তখন আবার ক্রিকেট খেলতে পারব কি-না, এমনকি সব সংস্করণে খেলতে পারব কি-না, এই ভাবনাগুলো পেয়ে বসে। তবে ইসিবি (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) আমাকে আশ্বাস দিয়েছে, মনে স্বস্তি দিয়েছে, তারা আমাকে লম্বা সময় ধরে খেলতে দেখতে চায়।”

“যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল না, একটা পর্যায়ে ভেবেছিলাম, আমি (ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয়) চুক্তি হারাতে যাচ্ছি। তবে এখন আমার ভবিষ্যত নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। তারা আমাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না।”

ইংল্যান্ডের হয়ে আর্চার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৩ টেস্ট, ১৭ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি। বারবাডোজে জন্ম নেওয়া এই পেসারের এবারের গ্রীষ্মে টেস্ট ক্রিকেটে খেলার সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। চোট থেকে ফেরায় তাকে নিয়ে সতর্ক ইসিবি।

তবে আর্চার বললেন, ইংল্যান্ডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি এর সঙ্গে সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর তিনি এমন কোনো বার্তা পাননি যে, তাকে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে বিবেচনা করা হবে। সব সংস্করণেই খেলতে চান তিনি।

“এখনও আমি সব কিছু খেলতে চাই। তবে আমার প্রথম লক্ষ্য হলো টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, আর এখানে যদি ঠিকভাবে না খেলি তাহলে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারব না। তাই আমার সামনে যে খেলা আছে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”

“আমি এখনই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য স্থির করছি না। পুরো এক বছর আর কোনো বাধা ছাড়াই থাকতে চাই আমি। জানি সামনে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, সেখানে আমি ভালোভাবে থাকতে চাই।”