দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী রোববার ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এর আগে বৃহস্পতিবার দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন সিলভারউড। এপ্রিলের শুরুর দিকে দুই বছরের জন্য লঙ্কানদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধারাবাহিক শ্রীলঙ্কা। পারফরম্যান্সে স্থিতিশীলতা আনতে চান নতুন কোচ। গত অ্যাশেজে ভরাডুবির পর ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হওয়া সিলভারউড ব্যাটিং ও বোলিংয়ে যোগ করতে চান ইতিবাচকতা।
“গত কয়েক সপ্তাহ আমি শুধু পরিসংখ্যান ঘাঁটাঘাঁটি করে কাটিয়েছি, খুঁজেছি যে কোথায় উন্নতি করতে পারি। রান করার অভিপ্রায় এর মধ্যে একটি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের খেলার আত্মবিশ্বাস দিতে হবে এবং আউটের ভয় না পাওয়ার কথা বলতে হবে।”
“এর মানে এই নয় যে আমাদের বেপরোয়া হতে হবে। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, আমাদের এর মধ্যেও স্মার্ট হতে হবে। আমি চাই তারা ইতিবাচক হোক, সাহসী হোক। আমরা যদি এই মনোভাব নিয়ে এগোই, ডট বলের হার কমে আসবে এবং স্ট্রাইক-রেট বাড়বে, যা শুধুই একটি ভালো দিক হতে পারে।”
সিলভারউড মনে করেন, ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করার আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করায় তার ভূমিকা রাখতে হবে। যাতে বোলারদের লড়াই করার জন্য স্কোর বোর্ডে পর্যাপ্ত রান থাকে।
সিলভারউড সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছেন ব্যাটিংয়ের দিকেই। তবে বোলারদের জন্যও থাকছে তার বার্তা।
“আমি টেস্ট বোলারদের প্রথম ১২ বলে আগ্রাসী হতে চ্যালেঞ্জ করেছি…। কারণ আমরা সবাই জানি, প্রথম ১২ বলেই আসল প্রভাব রাখা যায় এবং ব্যাটসম্যাননের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।”
“এটা শৃঙ্খলা স্থাপনের বিষয়, যেন আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো করতে পারি এবং এগুলো করতে যেন একঘেয়েমি না পেয়ে বসে। এটি ধারাবাহিক একটি প্রক্রিয়া, যদি ঠিকঠাক মতো এগিয়ে নেওয়া যায় তাহলে একটা সময় দেখা যাবে সবাই এটা করতে পারছে।”
শ্রীলঙ্কা দল ঢাকায় আসার পর বিকেএসপিতে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই দলের প্রথম টেস্ট। ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ২৩ মে থেকে। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।