‘রমিজকে সরালে পাকিস্তানের ক্রিকেট পিছিয়ে যাবে’

পাকিস্তানে রাজনীতি ও ক্রিকেট খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে। দেশটির সরকার পরিবর্তন হলেই তার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট বোর্ডে। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোয় পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে রমিজ রাজার ভবিষ্যৎ তাই ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়। তবে, চলমান এই রীতিতে পরিবর্তন দেখতে চান সাবেক পিসিবি প্রধান তৌকির জিয়া। তার মতে, রমিজকে সরালে সামনে এগোনোর বদলে পিছিয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2022, 10:37 AM
Updated : 30 April 2022, 10:37 AM

পদাধিকার বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ প্যাট্রন হয়ে থাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সরকার পরিবর্তনে তাই বরাবরই বদল আসে ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বেও। সেই শঙ্কা রয়েছে এবারও।

খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে ধারাভাষ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকা রমিজ রাজাকে ক্রিকেট প্রশাসনে নিয়ে আসেন ইমরানই। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের একান্ত চাওয়াতেই মূলত গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেন রমিজ। তার দায়িত্বের মেয়াদ তিন বছর।

দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্প সময়ে দারুণ সব পদক্ষেপে পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন প্রাণের জোয়ার এনেছেন রমিজ। তাকে সেই পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পিসিবির প্রধানের দায়িত্ব পালন করা তৌকির। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পুরো মেয়াদে কাজ করতে দেওয়া উচিত রমিজকে।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের খেলাধুলা বিশেষ করে ক্রিকেট থেকে রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা উচিত। পরিবর্তন মানে হলো, নিজস্ব ধারনার বাস্তবায়ন করা। রমিজ রাজা দায়িত্ব পেয়েছে ৫-৬ মাস হলো। এখন তাকে সরিয়ে যাকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে নিজের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আসবে। অনেক পরিবর্তন আনবে। এতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বদলে আরও পিছিয়ে যাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট।”

“দায়িত্বে যে-ই আসে, কাজ করার জন্য আসে, নিজের সম্মানের জন্য কাজ করে। ক্রিকেটারের বোর্ড চেয়ারম্যান হওয়া উচিত, এটাই সবাই বলছে। এখন যখন আমরা একজন চেয়ারম্যান পেলাম, যে কিনা ক্রিকেটার। তাকে তো অন্তত ৩ বছর সময় দেওয়া উচিত।”

ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক একবারেই পছন্দ নয় তৌকিরের। তার মতে, ক্রিকেটের বদলে দেশ চালানোয় মনোযোগ দেওয়া উচিত রাজনীতিবিদদের।

ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দুই দেশের রাজনৈতিক বিরূপ সম্পর্কের কারণেই হচ্ছে না। তৌকিরের বিশ্বাস, ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআইয়ের কখনোই খেলতে অমত ছিল না।

“বিসিসিআই কখনও আমাদের সঙ্গে খেলতে অস্বীকার করেনি। সমস্যাটা হচ্ছে দুই দেশের সরকারের। দেশ দুটির ক্রিকেট বোর্ড এখন সাবেক দুই ক্রিকেটার পরিচালনা করছে, তারা দুজনই চাইবে ক্রিকেটের আরও উন্নতি করতে। পাকিস্তান-ভারতের দ্বৈরথ দেখার চেয়ে ভালো কিছু নেই।”