ইবাদতের হাতে সেলাই, ছিটকে গেলেন লিগ থেকে

নাসুম আহমেদের শটে জোর ছিল বেশ। ফলো থ্রুতে নিজের বলে ক্যাচ নিতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। বেকায়দায় চোট পান হাতে। রক্তাক্ত হাত নিয়ে ছাড়েন মাঠ। পরে সেই হাতে সেলাই পড়ে বেশ কয়েকটি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাই আর খেলতে পারছেন না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই পেসার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2022, 02:11 PM
Updated : 21 April 2022, 03:25 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংসের ৪৯তম ওভারে ওই চোট পান ইবাদত।

ওভারের প্রথম বলটি তিনি করেন ফুল লেংথ। সোজা ব্যাটে ড্রাইভ করেন নাসুম। বেশ গতিতে আসা বলে ক্যাচ নিতে গিয়ে ফলো থ্রুতে নিজেকে সামলাতে পারেননি ইবাদত। বল তার ডান হাতে লেগে ছিটকে যায় মিড অনের দিকে।

তখনই এক হাত দিয়ে আরেক চাপ চেপে ধরেন ইবাদত। ফিজিওর সঙ্গে মাঠও ছেড়ে যান দ্রুত।

ম্যাচের পর শেখ জামাল অধিনায়ক ইমরুল কায়েস যা বলেছিলেন, তাতে উৎকণ্ঠিত হওয়ার কারণ ছিল যথেষ্টই, “একটু কঠিন হয়ে গেছে (ইবাদতের জন্য)… চিড় ধরে গেছে, হাতে সেলাই পড়েছে।”

কদিন পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ। টেস্টে ইবাদত এখন দলের বড় ভরসা। চিড় ধরলে তাই এই সিরিজ থেকে তার ছিটকে পড়ারই কথা।

পরে অবশ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইবাদত শোনালেন স্বস্তির কথাই। হাতে সেলাই পড়লেও বড় শঙ্কা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

“বুড়ো আঙুল আর তর্জনির মাঝে কেটে গেছে। বলের সিম লেগেছে, তাই ক্ষত বেশ গভীর। ভেতরে সেলাই দিতে হয়েছে, বাইরেও লেগেছে। ৭-৮টি সেলাই পড়েছে মনে হয়। তারপরও বড় ব্যাপার যে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। এটা নিয়েই টেনশনে ছিলাম।”

“চিড় যেহেতু ধরা পড়েনি, বিপদ তাই নেই। ডাক্তাররা বলেছেন ১০-১২ দিনেই ঠিক হয়ে যাবে। শেখ জামালের হয়ে খেলাটা মিস করব। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা নেই, এটাই আপাতত বড় কথা।”

জাতীয় দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে ফেরার পর লিগে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পারলেন ইবাদত। প্রথম ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকার পর ছিটকে গেলেন।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল।