ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের প্রথম দিনে বিকেএসপিতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে সোমবার দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন সাব্বির। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮টি করে চার ও ছক্কায় খেলেন ১১১ বলে ১২৫ রানের ইনিংস।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস এটি।
লিগের আগের ৯ ইনিংসের ৮টিতেই তিনি খেলেন মিডল অর্ডারে, একটিতে করেছিলেন ওপেন। সোমবার তাকে তিন নম্বরে নামায় দল। এ দিনই তিনি খেললেন বড় ইনিংস।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬৯ ম্যাচে সাব্বিরের মাত্র চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। এই সংস্করণে সবশেষ তিন অঙ্কের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি জাতীয় দলের হয়ে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নিউ জিল্যান্ড সফরে সেবার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে করেছিলেন ১১০ বলে ১০২ রান।
ঢাকা লিগে তার আগের সেঞ্চুরি ছিল সেই ২০১৬ সালে। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে তিনে নেমে করেছিলেন ৯৭ বলে ১০০।
এছাড়া আর একটিই সেঞ্চুরি আছে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। ২০১০ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগে রাজশাহী বিভাগের হয়ে বগুড়ায় খুলনা বিভাগের বিপক্ষে করেছিলেন ১১২ বলে ১১২। সেই ইনিংসটিও ছিল তিনে নেমে।
বিকেএসপিতে সোমবার সাব্বির উইকেটে যান ম্যাচের পঞ্চম ওভারেই, আরেক সাব্বিরের বদলে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দল পঞ্চম ওভারে হারায় ওপেনার সাব্বির হোসেনকে।
সাব্বির রহমান উইকেটে গিয়ে শুরুতে সময় নেন কিছুটা। ১৫ বলে তার রান ছিল ৩। দশম ওভারে নাসুম আহমেদকে দারুণ এক ফ্লিকে ছক্কা মেরে তিনি কাটান শুরুর জড়তা।
এরপর থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন সাবলিল ব্যাটিংয়ে। পাকিস্তানি লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার সাদ নাসিমের এক ওভারে স্লগ সুইপে ছক্কা ও দুটি পুল শটে চার মেরে ফিফটিতে পা রাখেন ৫৪ বলে।
এরপর ফজলে মাহমুদ রাব্বির বাঁহাতি স্পিনে মারেন দুটি ছক্কা, অফ স্পিনার শরিফউল্লাহর দুই ওভারে মারেন দুটি। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে লাগে স্রেফ ৩৪ বল। পেসার মুকিদুল ইসলামের ফুল টসে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮৮ বলে।
সেঞ্চুরির পর আসিফ আহমেদ রাহুলকে ছক্কা মারেন তিনি পুল শটে, এনামুল হক জুনিয়রকে স্লগ সুইপে।
তার ইনিংসটি শেষও হয় ছক্কার চেষ্টায়। মুকিদুল ইসলামের স্লোয়ারে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় সীমানায় আউট হন শরিফউল্লাহর ভালো একটি ক্যাচে।
সাব্বিরের সেঞ্চুরির সঙ্গে ভারতীয় চিরাগ জানির ৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে তোলে ৫ উইকেটে ৩২৫ রান।