অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার আশা বিসিবির, আলোচনা চলছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২২ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় স্রেফ দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে সবশেষ টেস্ট খেলার যুগপূর্তি হচ্ছে কদিন পরই। অবশেষে আইসিসি ভবিষ্যৎ সফরসূচির আগামী চক্রে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারে বাংলাদেশের টেস্ট সফর। তবে ইংল্যান্ডে টেস্ট পাওয়ার সম্ভাবনা এখনও কম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2022, 12:21 PM
Updated : 17 April 2022, 01:48 PM

২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত চক্রে আইসিসি ভবিষ্যৎ সফরসূচি ঠিক করা নিয়ে বোর্ডগুলোর আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সম্প্রতি দুবাইয়ে আইসিসির সভায় একটি খসড়াও দাঁড় করানো হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত নয়, কিছু সংযোজন-বিয়োজন আরও হবে। চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ সফরসূচি জানা যেতে পারে আগামী অক্টোবরের আইসিসি সভার পর।

সেই ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটিও ছিল তাদের নিজেদের মৌসুম শেষে, অখ্যাত দুই ভেন্যু কেয়ার্নস ও ডারউইনে। এরপর আর কখনও টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি তারা। এমনকি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সেখানে সবশেষ সফর করতে পেরেছিল সেই ২০০৮ সালে। সেবারও ডারউইনে ছিল তিন ম্যাচের সিরিজ।

আগামী চক্রে সেই খরা কাটছে বলেই আশা করছে বিসিবি। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন সম্ভাব্য অন্যান্য সফর ও সিরিজের কথাও।

“অস্ট্রেলিয়ায় মোটামুটি ২০২৭ সালে, বাংলাদেশ ওখানে খেলতে যাবে। দুটি টেস্ট খেলতে যাবে। এটা পরিকল্পনায় আছে, এখনও নিশ্চিত হয়নি। ২০২৬ সালে ওরা আসবে।“

“অস্ট্রেলিয়া এবং বাকি যারা আছে, পাকিস্তান আছে, ইংল্যান্ড আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা আছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আছেই… তাদের সঙ্গে এখনও আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। কিছু কিছু সিরিজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে, পরে আপনারা জানতে পারবেন।”

টেস্ট আঙিনার আরেক বনেদি দেশ ইংল্যান্ডেও টেস্ট সফরের অবস্থা প্রায় একই। ২০০৫ সালে সেখানে দুটি টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ, ২০১০ সালে দুটি। এরপর থেকে আর কোনো সংস্করণের সিরিজ খেলতেই ডাকেনি তারা।

সামনের চার বছরের চক্রেও সেই সম্ভাবনা কম। জালাল ইউনুস অবশ্য আশা ছাড়ছেন না এখনই।

“ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনও কথা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা সিরিজ খেলতে। সেটা এখনও আলাপ-আলোচনার মধ্যেই আছে। আমরা আশা করছি যেতে পারব, ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব।”

সব মিলিয়ে সামনের চার বছরের চক্রে বাংলাদেশ কতগুলো ম্যাচ খেলতে পারবে, সেটির একটি সম্ভাব্য ধারণা দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।

“আমাদের সঙ্গে আলাপ যা চলছে, এখনও পর্যন্ত মোটামুটি যেগুলো চূড়ান্ত করেছি, ৪০টির বেশি টেস্ট খেলব ২০২৭ সাল পর্যন্ত, ৭০টির বেশি আছে ওয়ানডে, ৭৬টির বেশি আছে টি-টোয়েন্টি। মোটামুটি নিশ্চিত আছে, হতে পারে এখান থেকে কিছু বদল আসবে।”

“এসব কিন্তু আইসিসি ইভেন্টের বাইরে। আইসিসি ইভেন্ট তো আছেই। এমন হতে পারে, কিছু ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার চিন্তাভাবনা আছে আমাদের। আমরা গিয়ে খেলতে পারি, এটা আলোচনা হচ্ছে। পরে জানাতে পারব।”

ভবিষ্যৎ সফরসূচি নিয়ে আলোচনার সময় ‘এ’ দলের সিরিজ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে কিছুদিন ধরেই বলে আসছিলেন বিসিবির কর্তারা। সেটির অগ্রগতি তুলে ধরলেন জালাল ইউনুস।

“এর মধ্যে ‘এ’ দলের কিছু প্রোগ্রাম রাখার চেষ্টা করছি আমরা। ‘এ’ দল বলেন বা হাই পারফরম্যান্সের সফর বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”