‘বিদেশে এসে স্পিনারদের উইকেট দেওয়া বড় ক্রাইম’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ভাবনাজুড়ে ছিল তাদের পেস আক্রমণ। বগুড়ায় ক্যাম্পে পেস বোলিং সামলানোর ভাবনায় কাজ করা হয়েছিল গতিময় ও বাউন্সি বল খেলা নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পর কেপ টাউনের ক্যাম্পেও জোর ছিল পেস বোলিং খেলায়। কিন্তু প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনাশ হলো স্পিনে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে স্পিনে এমন খাবি খাওয়ার ব্যাপারটি মানতেই পারছেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2022, 01:28 PM
Updated : 4 April 2022, 02:18 PM

ডারবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম চার উইকেটই নিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর টেস্টে ফেরা অফ স্পিনার সাইমন হার্মার। এরপর ওই ইনিংসে আর স্পিনে উইকেট পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া স্পিনে যেন চোখে স্রেফ সর্ষে ফুল দেখতে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ৬ ওভার বোলিং করেই বাংলাদেশের তিন উইকেট তুলে নেন কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার। শেষ দিন সকালে এই দুজনের সামনেই বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং। একের পর এক উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১৯ ওভারেই ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

১০ ওভার বোলিং করে ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন মহারাজ, ৯ ওভারে ২১ রানে ৩টি হার্মার। তাতে ৭২ বছর পর প্রতিপক্ষের সব উইকেট স্পিনে নিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ ছিল না। তবে খুব ভয়ঙ্করও ছিল না। মহারাজ ও হার্মারের স্পিনও ছিল না খুব বিপজ্জনক কিছু। এরপরও ব্যাটিং এভাবে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পেছনে মুমিনুল সংবাদ সম্মেলনে বললেন নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাই।

“বিদেশে এসে স্পিনারদের উইকেট দেওয়া বিরাট বড় একটা ক্রাইম। আমার কাছে মনে হয়, বিদেশে এসে আপনি স্পিনারদের উইকেট দিতে পারবেন না। এ কারণে দায়টা আমারই সবচেয়ে বেশি। ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদেশে এসে কোনোভাবেই স্পিনারদের উইকেট দেওয়া যাবে না। কারণ স্পিনারদের বিপক্ষেই তো রান করার সুযোগ বেশি থাকে। অবশ্যই এটা ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।”