এনামুলের সুযোগ হাতছাড়া, মোহামেডানের বড় হার

দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল হকের ব্যাট হাসল আরও একবার। সম্ভাবনা জাগালেন আরেকটি সেঞ্চুরির। শেষ পর্যন্ত যদিও তিনি পারলেন না তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া নিতে। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের আক্ষেপের দিনে তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব উড়িয়ে দিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2022, 12:00 PM
Updated : 2 April 2022, 12:01 PM

ইউল্যাব ক্রিকেট মাঠে শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে মোহামেডানকে ১২৭ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ৩১৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দিয়েছে স্রেফ ১৮৫ রানে।

ইনিংস শুরু করতে নেমে ৯৪ রান করেন এনামুল। ৪ ছক্কা ও ৯ চারে গড়া ৯৪ বলের ইনিংসের সুবাদে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী শুরু করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। লিস্ট ‘এ’ অভিষেকে নিজের প্রথম বল করতে এসেই ২২ বলে এক ছক্কা ও ৬ চারে ৩৫ রান করা শাহাদাতকে থামান মুশফিক হাসান।

সোহরাওয়ার্দী শুভকে পা বাড়িয়ে খেলে স্টাম্পড হয়ে যান অভিমান্যু ঈশ্বরন। ভালো শুরুর পর দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলকে এরপর এগিয়ে নেন এনামুল ও মিঠুন। তাদের জুটিতে দুইশর কাছে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংকের রান।

দ্রুত রান তুলে ৪৬ বলে ফিফটি করেন এমানুল। মিঠুন পঞ্চাশে পা রাখেন ৬১ বলে। তাদের জুটি শতরান স্পর্শ করে ১০৭ বলে।

আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো এনামুল ফিরে যান শুভাগত হোম চৌধুরির শট বলে, উড়িয়ে মেরে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। ভাঙে ১৩১ রানের জুটি।

ইয়াসিন আরাফাত মিশু থামান মিঠুনের প্রতিরোধ। এরপর নাসির হোসেন, শামসুর রহমান, মেহেদি হাসানদের ছোট ছোট অবদানে তিনশ পার করে প্রাইম ব্যাংক।

মোহামেডানের হয়ে ৫৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সৌম্য সরকার। দুটি করে প্রাপ্তি সোহরাওয়ার্দী ও তরুণ পেসার মুশফিকের।

বিশাল রান তাড়ায় ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মোহামেডান। রবিউল হক দ্রুত ফিরিয়ে দেন রনি তালুকদার ও সৌম্যকে। মেহেদির বলে লেগে ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ হাফিজ।

জাহিদউজ্জামানকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। দুইজনে গড়েন মোহামেডানের ইনিংসের একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। তাদের প্রতিরোধ যদিও দীর্ঘ হয়নি।

রকিবুল ইসলামের বলে স্টাম্পড হয়ে যান ৫ চারে ৩৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ। ওই ওভারেই জাহিদউজ্জামানকে ফিরিয়ে দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী বাঁহাতি এই স্পিনার।

আরিফুল ইসলাম লড়াই করেন কিছুক্ষণ। ৬৩ বলে তুলে নেন আসরে নিজের টানা দ্বিতীয় ফিফটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে করেন তিনি এক ছক্কা ও ৬ চারে ৫৩ রান।

দারুণ বোলিংয়ে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রকিবুল। দুটি করে শিকার ধরেন রবিউল ও মেহেদি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯.৩ ওভারে ৩১২/১০ (এনামুল ৯৪, শাহাদাত ৩৫,অভিমান্যু ৯, মিঠুন ৬০, নাসির ৩৮, শামসুর ২৭, মেহেদি ২৫, কাপালী ৫, রবিউল ২, রেজাউর ৯*, রকিবুল ০; নাজমুল অপু ১০-০-৪৯-০, ইয়াসিন ৬-০-৫১-১, সোহরাওয়ার্দী ১০-০-৫৬-২, মুশফিক ৯-০-৬৭-২, সৌম্য ৯.৩-০-৫৪-৪, হাফিজ ৩-০-২৫-০, শুভাগত ২-০-৮-১)

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৩৮.৩ ওভারে ১৮৫ (রনি ১২, সৌম্য ৩, হাফিজ ১৭, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, জাহিদউজ্জামান ২৬, আরিফুল ৫৩, শুভাগত ২, নাজমুল ২, ইয়াসিন ১৭, মুশফিক ০*; রবিউল ৪-০-২৭-২, মেহেদি ৮-১-৩৯-২, রকিবুল ১০-১-৪০-৪, রেজাউর ৫-০-২৩-০, নাসির ১০-০-৫০-১, কাপালী ১.৩-০-৬-১)

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১২৭ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: এনামুল হক