লিড দূরের পথ, বাংলাদেশের লক্ষ‍্য ব্যবধান কমানো

দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের পরই স্পষ্ট হতে শুরু করে, উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা বাড়ছে। শেষ বেলায় সেটা আরও নিশ্চিত হয় সাইমন হার্মার ও কেশভ মহারাজের বোলিংয়ে। স্পিনাররা টার্ন পাচ্ছেন, কখনও কখনও বল নিচু হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন শেষে খেলার যা চিত্র, এমন পরিস্থিতিতে লিড নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে মনে হচ্ছে দূরের পথ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2022, 06:06 PM
Updated : 1 April 2022, 06:06 PM

দক্ষিণ আফ্রিকার রানের যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাওয়া যায়, আপাতত সেই চেষ্টার কথাই বললেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

ডারবানের কিংসমিডে শুক্রবার ৪ উইকেটে ৯৮ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া দলটি এখনও ২৬৯ রানে পিছিয়ে। নাইটওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ক্রিজে আছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

সফরকারীদের চারটি উইকেটই নিয়েছেন অফ স্পিনার হার্মার। অন্য প্রান্তে ভীতি ছড়াচ্ছেন মহারাজ। দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মিরাজ জানালেন, ব্যবধান যতটা সম্ভব কমানো হবে তাদের প্রথম লক্ষ‍্য। 

“এখনও খেলা অনেক বাকি। দুই দিন দেখেই ফল অনুমান করা সম্ভব না। আমি মনে করি, আমাদের এখনও অনেক সুযোগ আছে। জয় খুব ভালো খেলছে, এরপর লিটনদা (দাস) আছেন, (ইয়াসির আলি চৌধুরি) রাব্বি আছে, আমি আছি। আমরা চেষ্টা করব, ইনিংস যত দূর সম্ভব নিয়ে যাওয়া যায়।”

“ক্রিকেট খেলায় সবই সম্ভব। আমরা ইনিংস যত দূরে নিতে পারব আমাদের জন্য তত ভালো হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা ওদের জন্যও কঠিন হবে। এ জন্য প্রথম ইনিংসে আমরা যত দূর যেতে পারি আমাদের জন্য তত ভালো হবে।”

প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনকেই হারিয়ে দল হয়ে পড়েছে কোণঠাসা। এখান থেকে কি লিড নেওয়া সম্ভব?

“(লিড) আসলে এখনও অনেক দূরের চিন্তা। আমরা চেষ্টা করব প্রথম সেশনটা খেলার জন্য। ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক বড় চ‍্যালেঞ্জ থাকবে কালকের দিনটা। আমাদের চার উইকেট পড়ে গেছে। বাকি যে ব্যাটসম্যানরা আছে, অবশ্যই তাদের জন্য অনেক বড় চ‍্যালেঞ্জ হবে। এই চ‍্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।”

হার্মার ও মহারাজের ভালো বোলিংয়ের চেয়েও মূল ভয় আসলে পিচ। টার্ন বাড়ছে, বল নিচু হচ্ছে বলে তৃতীয় দিন নিজেদের জন্য কঠিন পরীক্ষা দেখছেন মিরাজ।

“উইকেট থেকে স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছে। আমাদের চারটা উইকেট ওদের স্পিনাররাই পেয়েছে। বল টার্ন করছে মাঝে মধ্যে একটু নিচুও থাকছে, এটা সামলানো কঠিন। ব্যাটসম্যানরা যদি সামলাতে পারে…আমরা নিজেরা যদি মানসিকভাবে দৃঢ় হয়ে সামলাতে পারি তাহলে হয়তো ওদের কাছাকাছি যেতে পারব।”