ডারবানে এমনিতে বেশির ভাগ সময় টস জয়ী দল ব্যাটিং নিলেও বৃহস্পতিবার মুমিনুল হক নেন বোলিং। উইকেটে সবুজ ঘাস তো বটেই, শুরুর আর্দ্রতাও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু বোলার যখন বল করতে প্রস্তুত, ব্যাটসম্যান দাঁড়ালেন স্টান্স নিয়ে, তখনই বিপত্তি। ইলেকট্রিক সাইটস্ক্রিন কাজ করছিল না ঠিকঠাক। এরপর সাদা কাপড়ে ঢেকে সাইটস্ক্রিন ঠিক করতে মাঠকর্মীদের সময় লাগে বেশ। ৩৩ মিনিট পর শুরু হয় খেলা।
আঘ ঘণ্টায় উইকেটের আর্দ্রতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে খেদ প্রকাশ করলেন ডমিঙ্গো।
“আধ ঘণ্টার ওই বিরতি কোনো দলের জন্যই খুব একটা ভালো হয়নি। আমার মনে হয়, সকাল ১০টায় শুরু আর সাড়ে ১০টায় শুরুর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। আমাদের জন্য এটা মোটেও ভালো কিছু হয়নি।”
খেলা শুরুর পর বাংলাদেশের বোলিংও ভালো হয়নি। তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ লেংথ ঠিকঠাক করতেই পারছিলেন না। তাদের বোলিং গোছানো হয়নি একদমই। আলগা বলও দেন তারা প্রচুর। ডিন এলগার ও সারেল এরউইয়া প্রথম সেশনে ৯৫ রান তুলে ফেলেন ২৫ ওভারেই।
এই জুটি ১১৩ রানে থামানোর পর অবশ্য দারুণ লড়াইয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ১৮০ রানে যখন চতুর্থ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশই তখন একটু এগিয়ে। এরপর টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনার অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতে আবার খানিকটা এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
ডমিঙ্গোর চোখে, এই দিনে এগিয়ে নেই কেউ। তাকিয়ে তিনি দ্বিতীয় দিন সকালের দিকে।
“আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। প্রথম সেশনে বোলিং হয়েছে গড়পড়তা। তবে লাঞ্চের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াই। আমার মনে হয়, দিনটা সমতায় শেষ হয়েছে। ওরা কেবল ২৩০ (২৩৩) রানই করেছে। কালকে সকালে যদি দুটি উইকেট নিতে পারি, আমাদেরকে তা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে।”