দ. আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ইংল্যান্ড

কে কয়টা ক্যাচ ফেলতে পারে, যেন সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা! বারবার জীবন পেয়ে ড্যানি ওয়াট উপহার দিলেন সেঞ্চুরি। সঙ্গে সোফিয়া ডাঙ্কলির ফিফটিতে ইংল্যান্ড পেল বড় পুঁজি। পরে সোফি এক্লেস্টোনের স্পিনে মুখ থুবড়ে পড়ল প্রোটিয়াদের ব্যাটিং। বিশাল জয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখল শিরোপাধারীরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2022, 09:48 AM
Updated : 31 March 2022, 10:08 AM

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয় ১৩৭ রানে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বৃহস্পতিবার ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আসরে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে যাদের নকআউট পর্বে ওঠাই পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে, সেই ইংল্যান্ড পরের পাঁচ ম্যাচ জিতে উঠে গেল ফাইনালে। যেখানে আগে থেকে অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া। আগামী রোববার হ্যাগলি ওভালেই শিরোপা লড়াইয়ে নামবে টুর্নামেন্টের সফল দুই দল।

ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের কারিগর ওয়াট পাঁচবার জীবন পেয়ে খেলেন ১২৫ বলে ১২ চারে ১২৯ রানের ইনিংস। ২২, ৩৬, ৭৭, ১১৬, ও ১১৭ রানে তার ক্যাচ ফেলেন ফিল্ডাররা।

২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ী আসরে যিনি ছিলেন নেট বোলার, সেই এক্লেস্টোন এবার ৩৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সেরা বোলিং এটিই। গত আসরের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আনা শ্রাবসোলের ৪৬ রানে ৬ উইকেট ছিল আগের সেরা।

সেই শ্রাবসোলের হাত ধরেই এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ধ্বংসযজ্ঞের শুরু হয়। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে তিনি ফিরতি ক্যাচে বিদায় করেন লরা উলভার্টকে। নিজের পরের ওভারে তুলে নেন আরেক ওপেনার ব্যাটার লিজেল লির উইকেট।

ইংল্যান্ডের জয়ের দুই কারিগর, বল হাতে সোফি এক্লেস্টোন ও তার পাশে ড্যানি ওয়াট। ছবি: আইসিসি

তৃতীয় উইকেটে ৩৬ রানের একটি জুটি গড়েন লারা গুডল ও সুনে লিস। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের শেষ ৬ উইকেটটি নেন মেয়েদের ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা বোলার এক্লেস্টোন।

ওয়ানডেতে প্রথম ৫ উইকেট পেলেন তিনি। আর চতুর্থ বোলার হিসেবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাচে ৬ উইকেট পেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মিগনন ডু প্রিজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভালো ছিল না। ৭৭ রানের মধ্যে ট্যামি বিউমন্ট, হিদার নাইট ও ন্যাট সিভারের উইকেট হারায় তারা। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত, যদি ওয়াটের ক্যাচ নিতে পারতেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা।

চতুর্থ উইকেটে অ্যামি জোন্সের সঙ্গে ৪৯ ও পঞ্চম উইকেটে ডাঙ্কলির সঙ্গে ১১৬ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন ওয়াট। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস থামে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে।

ডাঙ্কলি আউট হন ৭২ বলে ৬০ রান করে। শেষ দিকে ১১ বলে ৫ চারে ২৪ রানের ক্যামিও খেলেন এক্লেস্টোন। পরে তার স্পিনের সামনেই দিশা খুঁজে পেল না দক্ষিণ আফ্রিকা।

গত আসরেও সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।