পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ১৬৫.৩৩ গড়ে সর্বোচ্চ ৪৯৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় হন খাওয়াজা। তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে ব্যাটিং করে তার রান ছিল ৯৭, ১৬০, অপরাজিত ৪৪, ৯২ ও অপরাজিত ১০৪। যেখানে শেষ দুটি ইনিংস এসেছে ১১৫ রানে পাকিস্তানকে হারানো লাহোর টেস্টে।
ব্যাট হাতে দারুণ এই পথচলার প্রতিফলন পড়েছে খাওয়াজার র্যাঙ্কিংয়ে। ৬ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠেছেন সাতে। পেছনে ফেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, রিশাভ পান্ত, বিরাট কোহলি, ট্রাভিস হেড ও রোহিত শর্মাকে। এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ১০ নম্বর স্থানে ওঠেন তিনি।
পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৭৯.৪০ গড়ে ৩৯৭ রান করে আবদুল্লাহ শফিক এগিয়েছেন ২২ ধাপ। পাকিস্তান ওপেনারের অবস্থান ৪০তম। তার সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮ ধাপ নিচে নেমে আছেন ১৯ নম্বরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে একদম নিষ্প্রভ ছিলেন জো রুট। দুই ইনিংসে ইংলিশ অধিনায়কের রান ছিল ০ ও ৫। তাতে র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে চারে নেমে গেছেন তিনি।
আগের মতোই শীর্ষস্থানে অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। তার সতীর্থ স্টিভেন স্মিথ এখন দুইয়ে, নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন তিনে।
গ্রেনাডায় ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারানো শেষ টেস্টে দলের বিপর্যয়ে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেন জশুয়া দা সিলভা। এই পারফরম্যান্সে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ২১ ধাপ এগিয়ে ৬৩তম স্থানে উঠেছেন এই ক্যারিবিয়ান এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
ওই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিয়ে কাইল মেয়ার্স এগিয়েছেন ৩৩ ধাপ। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৪৮তম স্থানে। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে দুই উইকেট নেওয়া এই ক্যারিবিয়ান পেস বোলিং অলরাউন্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ১৮ রানে পাঁচটি।
চার ধাপ উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের, আছেন ১১ নম্বরে। নিউ জিল্যান্ডের কাইল জেমিসনকে টপকে পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি।
বোলারদের তালিকায় শীর্ষ চার স্থানে আসেনি পরিবর্তন। সেরা চারে আছেন অস্ট্রেলিয়া প্যাট কামিন্স, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারিয়ে তিনে নেমে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার। এখন এই তালিকায় সবার ওপরে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ও দুইয়ে তার সতীর্থ অশ্বিন।