অভিষিক্ত টিকনারের বোলিং ঝলকের পর ইয়াংয়ের সেঞ্চুরি

নিয়মিত ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ না থাকায় পাওয়া সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিলেন ব্লেয়ার টিকনার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ে ওয়ানডে অভিষেক রাঙালেন এই পেসার। পরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে নিউ জিল্যান্ডকে অনায়াস জয় এনে দিলেন উইল ইয়াং।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2022, 10:33 AM
Updated : 29 March 2022, 10:37 AM

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম ওয়ানডেতে ডাচদের ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে কিউইরা। প্রতিপক্ষের ২০২ রান তারা ছাড়িয়ে যায় ৬৯ বল বাকি থাকতে।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ বছর আগের প্রথম দেখায়ও একইরকম তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। ১৯৯৬ সালের সেই ম্যাচে তারা হেরেছিল ১১৯ রানে।

আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ ১২ ক্রিকেটারকে ছাড়াই ডাচদের সঙ্গে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে এই সিরিজ খেলছে নিউ জিল্যান্ড। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার, ডেভন কনওয়ে, জেমস নিশামদের ছাড়া শুরুটা ভালোই হলো তাদের।

বে ওভালে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নেদারল্যান্ডসকে অল্পতে আটকে রাখায় বড় অবদান টিকনারের। ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে চার উইকেট নেওয়া চতুর্থ বোলার তিনি। কাইল জেমিসনের শিকার ৪৫ রান দিয়ে তিনটি।

রান তাড়ায় ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ইয়াং। ৩ ছক্কা ও ৮ চারে গড়া ১১৪ বলের ইনিংসটির জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। ৫৭ রান আসে হেনরি নিকোসের ব্যাট থেকে।

শুরুতেই ব্যাটিং ধসে পড়ে নেদারল্যান্ডস ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে দলটির।

খাদের কিনার থেকে তাদের টেনে তোলেন মাইকেল রিপ্পন ও অধিনায়ক পিটার সিলার। দুজনে গড়েন ৮০ রানের জুটি। টিকনারের বলে ৩ চারে ৪৩ রান করা সিলার কট বিহাইন্ড হলে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ।

এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান ৮১ বলে দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটি করা রিপ্পন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিপ্পন আউট হন এক ছক্কা ও ৪ চারে ৬৭ রান করে।

নিউ জিল্যান্ডের চতুর্থ বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে ৪ উইকেট নিয়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। ছবি: আইসিসি।

জবাব দিতে নামা নিউ জিল্যান্ড শিবিরে চতুর্থ ওভারেই আঘাত হানেন লোগান ফন বিক। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন মার্টিন গাপটিল।

এরপর দলকে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে নেন নিকোলস ও ইয়াং। দ্রুত রান তুলে ৫৪ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন ইয়াং, নিকোলসের ফিফটি আসে ৬৫ বলে। তাদের জুটি শতরান স্পর্শ করে ১০৯ বলে।

নিকোলসকে ফিরিয়ে ১৬২ রানের জুটি ভাঙেন রিপ্পন। তার বাঁহাতি রিস্ট স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন এক ছক্কা ও ৩ চারে ৫৭ রান করা নিকোলস।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রস টেইলরের। রিপ্পনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি কেবল ১১ রানে।

ফিলিপ বোয়াসেভেনকে চার মেরে ১১৪ বলে ইয়াং পা রাখেন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯ ম্যাচ পর পেলেন তিনি শতকের উষ্ণ ছোঁয়া। ওই বাউন্ডারিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নেদারল্যান্ডস: ৪৯.৪ ওভারে ২০২ (মাইবার্গ ১১, ও’ডাওড ৪, বিক্রমজিত ১৯, ডে লেডে ৭, এডওয়ার্ডস ১, রিপ্পন ৬৭, সিলার ৪৩, ফন বিক ১৪, বোয়াসেভেন ১৫, ক্লাসেন ৩, গ্লভার ৬*; জেমিসন ৯.৪-১-৪৫-৩, হেনরি ৮-১-৩১-১, টিকনার ১০-০-৫০-৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫-০-১০-১, ব্রেসওয়েল ৮-১-২২-১, সোধি ৯-০-৪০-০)

নিউ জিল্যান্ড: ৩৮.৩ ওভারে ২০৪/৩ (গাপটিল ২, নিকোলস ৫৭, ইয়াং ১০৩*, টেইলর ১১, ল্যাথাম ৮*; ক্লাসেন ৬-১-২৩-০, ফন বিক ৬-০-৩৪-১, ডে লেডে ২-০-১৭-০, গ্লভার ৩-০-২৪-০, সিলার ১০-০-৩০-০, রিপ্পন ৮-০-৩২-২, বোয়েসেভেন ৩.৩-০-৩৫-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড

ম্যান অব দা ম্যাচ: উইল ইয়াং