হাফিজ-রনির ফিফটিতে মোহামেডানের জয়

প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো কাটছিল না মোহাম্মদ হাফিজের। অবশেষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ও রনি তালুকদারের ফিফটিতে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে হারাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2022, 11:21 AM
Updated : 28 March 2022, 02:36 PM

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সোমবার মোহামেডানের জয় ৫ উইকেটে। প্রতিপক্ষের ১৮৫ রান তারা ছাড়িয়ে যায় ২৮ বল বাকি থাকতে।

রান তাড়ায় ইনিংস শুরু করতে নেমে এক ছক্কা ও ৫ চারে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রনি। পাঁচে নেমে এক ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ রান করেন হাফিজ। আগের তিন ম্যাচে তার রান ছিল ৪, ০ ও ২৮।

হালকা ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় শেখ জামাল। এরপর চলতে থাকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দলটির একশর আগে গুঁড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে।

তাদের কিছুটা ভদ্রস্থ পুঁজি এনে দেন তাইবুর রহমান ও সানজামুল ইসলাম। অষ্টম উইকেটে এই দুইজন গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

এক ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ রান করা সানজামুলকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। তাইবুর ফিফটি তুলে নেন ৭৪ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৫ চারে ৫৩ রান নিয়ে।

দুর্দান্ত বাঁহাতি স্পিনে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া নাজমুল ইসলাম অপু হন ম্যাচের সেরা।

অল্প পুঁজি নিয়ে শুরুতে মোহামেডানকে কিছুটা চাপে ফেলে শেখ জামাল। ভারতের পারভেজ রাসুলের বলে ক্যাচ তুলে দেন পারভেজ হোসেন। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার।

৩৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন রনি ও মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। রবিউল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ২০ রান করে।

৭১ বলে ফিফটি করা রনিকে ইনিংস লম্বা করতে দেননি সাইফ হাসান। এরপর আরিফুল ইসলামকে নিয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেন হাফিজ। দুইজনে গড়েন ৬২ রানের জুটি।

৫৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন হাফিজ। পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন মিডঅনে। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় মোহামেডান।

শুভাগত হোম চৌধুরি ও আরিফুল সারেন বাকি কাজ। একটি করে ছক্কা-চারে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৮ ওভারে ১৮৫ (সৈকত ০, সাইফ ৩, ইমরুল ১৫, জহুরুল ২, রবিউল ১৩, পারভেজ ১৯, তাইবুর  ৫৩*, জিয়াউর ০, সানজামুল ৪৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৩, সুমন ১১; নাজমুল ৬-১-৯-৩, শুভাগত ১০-০-৩৯-২, ইয়াসিন ১০-৩-৩২-২, মাহমুদ ৯-১-৩০-২, হাফিজ ৭-০-৩০-০, মাহমুদউল্লাহ ৫-০-৩৩-১, আরিফুল ১-০-৮-০)

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৫.২ ওভারে ১৮৬/৫ (রনি ৫৭, পারভেজ ১৭, সৌম্য ১, মাহমুদউল্লাহ ২০, হাফিজ ৫০, আরিফুল ৩৩*, শুভাগত ৩*; পারভেজ ১০-২-২৯-১, সুমন ৬.২-০-৩৩-১, রবিউল ৭-০-২২-১, সানজামুল ১০-০-৪৭-০, তাইবুর ৫-০-২১-০, মৃত্যুঞ্জয় ১-০-৭-০, সাইফ ৬-০-২৪-১)

ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল ইসলাম অপু