আবেদন ছাড়াই আউট, আম্পায়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ বিসিবির

বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করলেন হাসানউজ্জামান। ব‍্যাটের কানায় লেগে বল গেল ফাইন লেগে। আবাহনীর বোলার, কিপার কেউ আবেদন করলেন না সেভাবে, বরং অল্পের জন্য বল প্যাডে না লাগায় দুজনেরই মাথায় হাত। কিন্তু আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার, এলবিডব্লিউ! উদ্ভট এই আউটের জন্য বিসিবির নোটিশ পেলেন আইসিসি প্যানেলের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2022, 04:15 PM
Updated : 27 March 2022, 04:35 PM

ঘটনা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে। রোববার আবাহনীর ২৬১ রানের জবাব দিচ্ছিল খেলাঘর। ইনিংসের সেটি ষষ্ঠ ওভার। হাসানউজ্জামান ২ চারে খেলছিলেন ৮ রান নিয়ে। তখনই মাসুদুর রহমানের সেই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত।

বিসিবির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হয়েছে ম্যাচ। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঝড় বয়ে যায় ট্রল ও সমালোচনার।

ম‍্যাচ শেষে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি ২০ রানে হেরে যাওয়া খেলাঘর সমাজ কল‍্যাণ সমিতি। তবে ভিডিও দেখে নিজ উদ‍্যোগেই ব‍্যবস্থা নেওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ। 

“আমার নজরেই এসেছে। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি থেকেই তার কাছে এমন ভুলের আনুষ্ঠানিক কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।”

ছেলেদের ক্রিকেটে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪০ টি আন্তর্জাতিক ম‍্যাচে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মাসুদুর। আবাহনী-খেলাঘর ছিল তার ক‍্যারিয়ারের দেড়শতম লিস্ট ‘এ’ ম‍্যাচ। এমন অভিজ্ঞ আম্পায়ার এই ভুল কী করে করলেন, আলাপচারিতায় জানতে চেয়েছিলেন ইফতেখার।

“(মাসুদুর) মুকুল আমাকে বলেছে, সে ভুল করেছে। মনোযোগের ঘাটতির কারণে এমনটা হয়েছে। শোনার পর আমি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। এর থেকে তো বেশি কিছু করার নেই। আম্পায়াররা তো মানুষ, তাদের ভুল হতে পারে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মেইল পাঠাচ্ছি মুকুলের কাছে ভিডিও ফুটেজটা দিয়ে। তার বক্তব‍্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাই।”

“আমি জানতে চেয়েছি, এত দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার কারণ কি? সে বলেছে হয়তো আমার মনোযোগের ঘাটতি ছিল। আমি বলেছি, ওটা লিখিত দাও। মনোযোগের ঘাটতি দুয়েকবার গ্রহণ করা যাবে, বারবার তো যাবে না।”

ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ পুরনো। এবার লিগ শুরু হলো মাত্র কয়েক দিন, এর মধ‍্যেই এমন সিদ্ধান্ত। ইফতেখারের আশা, এটির পুনরাবৃত্তি আর হবে না।

“আমি পর্যবেক্ষণ করছি। আমার দায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করা, এর বেশি কিছু তো আমি করতে পারি না। লাভ হবে কী হবে না, সেটা জানি না। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার উদ্দেশ্য খানিকটা চাপে রাখা। ভবিষ্যতে যেন সতর্ক থাকে।”