গ্রেনাডা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৮ উইকেটে ২৩২। ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে তারা ২৮ রানে।
আগের দিন শেষ জুটিতে ইংল্যান্ড তুলেছিল ৯০ রান। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানও এক পর্যায়ে ছিল ৭ উইকেটে ১২৮। ইংলিশরা তখন ছিল লিডের আশায়। কিন্তু লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে জশুয়া দা সিলভার চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে ক্যারিবিয়ানরা কাটিয়ে ওঠে বিপর্যয়। কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া অপরাজিত ১৫২ বলে ৫৪ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছিল ভালো। সকালে উইকেটে ছিল আর্দ্রতা। তবে শুরুর চ্যালেঞ্জ সামলে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল দলকে ৫০ রানের জুটি এনে দেন ১৭ ওভার খেলে।
সময়ের সঙ্গে আর্দ্রতা কমে যায়। কিন্তু ক্যারিবিয়ানরা উইকেট হারাতে থাকে একের পর এক। আগের টেস্টে ম্যারাথন ইনিংস খেলা ব্র্যাথওয়েটকে এবার ১৭ রানে থামিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দেন বেন স্টোকস।
একটু পর তিনে নামা শামার ব্রুকস ফেরেন ১৩ রানে, থিতু হয়ে যাওয়া জন ক্যাম্পবেল আউট হয়ে যান ৩৫ রানে।
একটু পর যখন জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে এলবডিব্লউ করে দেন ওকস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ধুঁকছে ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে।
সাতে নেমে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন কাইল মেয়ার্স। তবে বেন স্টোকস তাকে থামান ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করার পর।
এরপরই লোয়ার অর্ডারে তুমুল প্রতিরোধ। জশুয়া বরাবরই পছন্দ করেন উইকেট আগলে রাখতে। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন দুই পেসার আলজারি জোসেফ ও কিমার রোচ।
অষ্টম উইকেটে জোসেফ ও জশুয়া ৪৯ রানের জুটি গড়েন ১২৯ বলে। জোসেফকে ২৮ রানে ফিরিয়ে ক্রেইগ ওভারটন ভাঙেন এই জুটি। কিন্তু ইংলিশদের স্বস্তি ফেরেনি। রোচকে নিয়ে আরও একটি কার্যকর জুটিতে দলকে লিড এনে দেন জশুয়া।
ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ে ওঠে নবম উইকেটে। দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েও ইংল্যান্ড পারেনি এই জুটিতে ফাটল ধরাতে। ওভারটনকে দারুণ ফ্লিকে বাউন্ডারি মেরে জশুয়া ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে পা রাখেন ১৪৩ বলে।
আলোকস্বল্পতায় খেলা একটু আগেই শেষ হওয়ার সময় অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১০৩ বলে ৫৫। রোচ অপরাজিত ২৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২৩২/৮ (ব্র্যাথওয়েট ১৭, ক্যাম্পবেল ৩৫, ব্রুকস ১৩, বনার ৪, ব্ল্যাকউড ১৮, হোল্ডার ০, মেয়ার্স ২৮, জশুয়া ৫৪*, জোসেফ ২৮, রোচ ২৫*; ওকস ২০-৬-৪৮-৩, ওভারটন ২০-১-৭১-২, সাকিব ১৮-৭-৩৯-১, স্টোকস ১৬-২-৪০-২, লিচ ১২-৩-২৬-০)