আপাতত ‘ড্রপ-ইন পিচ’ আনবে না পাকিস্তান

অনেক আয়োজন করে ‘ড্রপ-ইন পিচ’ আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। সেটি নিয়ে জেগেছে অনিশ্চয়তা। অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পিচগুলো পাকিস্তানে ব‍্যবহার করা যাবে কি-না, তা যাচাইয়ে একজন পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। তার মতামতের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2022, 03:50 PM
Updated : 24 March 2022, 03:50 PM

গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফট অনুষ্ঠানে পিসিবি প্রধান রমিজ ঘোষণা করেন, করাচি ও লাহোরে বসানো হবে ড্রপ-ইন পিচ। তিনি জানান, দেশজুড়ে ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তখন জানা গিয়েছিল, আরিফ হাবিব গ্রুপের সঙ্গে ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে পিসিবি। দুই পিচের আনুমানিক খরচ হতো ৩৭ কোটি রুপির মতো।

ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এখন সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে পিসিবি। ড্রপ-ইন পিচ আনার আগে তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে মাটি আনবে এবং ট্রায়ালের অংশ হিসাবে একাধিক ভেন্যুতে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।

আরিফ হাবিব গ্রুপকে ড্রপ-ইন পিচগুলো আমদানি করার প্রক্রিয়া স্থগিত করতে বলা হয়েছে। চুক্তির অর্থ পিচের উন্নয়নে ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।

পিসিবির একজন মুখপাত্র ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানান, ড্রপ-ইন পিচের ব্যাপারে পরামর্শের জন্য তারা অস্ট্রেলিয়ান একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি আগামী এপ্রিলে পাকিস্তানে আসবেন এবং সম্ভাব্য সব ভেন্যু মূল্যায়ন করে তার মতামত দেবেন। এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পিসিবি।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের পিচ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ জুড়েই লাইমলাইটে আছে পিচের আচরণ। সিরিজে যা কিছুটা সাফল্য পাচ্ছেন, তা কেবল পেসাররাই। দুই দলের স্পিনারদের জন্যই উইকেট হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘সোনার হরিণের’ মতো।

করাচি টেস্টে উইকেটে তাও কিছুটা প্রাণ ছিল, রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। ব্যাটিং স্বর্গে পাঁচ দিনে দুই দল মিলিয়ে উইকেট পড়েছিল কেবল ১৪টি।

ওই ম্যাচের পর আইসিসি জানায়, রাওয়ালপিন্ডির পিচ ‘গড়পড়তা মানের নিচে।’ একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয় রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে।

পিচ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে লাহোরে চলমান সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের আগে উইকেট প্রস্তুত করতে স্থানীয় কিউরেটরকে সহায়তা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর টবি লুমসডেনকে নিয়োগ দেয় পিসিবি। উদ্দেশ্য ছিল স্পিনাররাও যেন কিছুটা সহায়তা পান। কিন্তু চতুর্থ দিন পর্যন্ত যথারীতি আধিপাত্য সেই পেসারদেরই। দুই দল মিলিয়ে ২৩ উইকেটের মধ্যে পেসাররাই নিয়েছেন ১৯টি।