‘কোচের প্রচণ্ড বিশ্বাস ছিল, সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ’

জয়খরার দেশে এবার জয়ের স্বপ্ন নিয়েই গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে সেই স্বপ্ন ছিল স্রেফ একটি ম্যাচ জয়কে ঘিরে। বাংলাদেশ অধিনায়কের আশার সীমানায় ছিল না সিরিজ জয়। কিন্তু একজন ঠিকই বিশ্বাস করেছেন। তামিম জানালেন, কোচ রাসেল ডমিঙ্গো নিজে বিশ্বাস করেছেন তো বটেই, ক্রিকেটারদের মধ্যেও সঞ্চারিত করেছেন সেই বিশ্বাস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2022, 11:48 AM
Updated : 24 March 2022, 01:16 PM

ডমিঙ্গোর নিজের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। জন্ম, বেড়ে ওঠা, ক্রিকেট খেলা এবং কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়া, সব এখানেই। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের কোচও ছিলেন তিনি। সময়ের পরিক্রমায় এখন তিনি বাংলাদেশের দায়িত্বে, এবারের আগে যে দেশ কখনও টেস্ট বা ওয়ানডে জেতেনি ডমিঙ্গোর দেশে।

এবার কোনো একটি ম্যাচ জয়ের আশা অনেকের ছিল। কিন্তু সিরিজ জয় ছিল একরকম অভাবনীয়ই। ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে সেটিই বাস্তবে রূপ দিয়েছে বাংলাদেশ।

সিরিজ জয়ের পর ডমিঙ্গোর উচ্ছ্বাসও ছিল দেখার মতো। মাঠে তামিম, লিটনদের সঙ্গে উদযাপনে তাকে দেখা গেছে আবেগময়। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরে টিম বাস থেকে নেমে তিনি নাচতে নাচতে প্রবেশ করেন হোটেলে। সবকিছুতেই তার বিশ্বাস বাস্তবে রূপ পাওয়ার প্রতিচ্ছবি।

অবিস্মরণীয় সিরিজ জয়ের পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় সংবাদ সম্মেলনে তামিম বললেন, তাদের মনে সংশয় থাকলেও কোচের ছিল না একটুও।

“দেশ থেকে আসার সময় এটা বিশ্বাস ছিল যে জিততে পারব। সিরিজ জিততে পারব নাকি, এটা বলাটা কঠিন ছিল। তবে ম্যাচ জয়ের বিশ্বাস ছিল। তবে এটাও বলতে হয়, কোচের প্রচণ্ড বিশ্বাস ছিল যে বাংলাদেশ সিরিজটি জিতবে। তিনি ক্রমাগত বলে গেছেন এবং ক্রিকেটারদেরও সেই বিশ্বাস জোগানোর চেষ্টা করেছেন।”

এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট। শ্রীলঙ্কান গ্রেট রঙ্গনা হেরাথ স্পিন কোচ হিসেবে আছেন আগে থেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক দুই ব্যাটসম্যান নিল ম্যাকেঞ্জি ও অ্যাশওয়েল প্রিন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশ দলে। এবার সিরিজ জয়ে ডমিঙ্গো ও কোচিং স্টাফের সবারই বড় অবদান দেখছেন তামিম।

“তারা বিরাট ভূমিকা রেখেছেন, আমার কাছে মনে হয়। সব তথ্য তারা দিয়েছেন। যতটা পারা যায়, ভাগাভাগি করেছেন আমাদের সঙ্গে। পাশাপাশি আমাকে এটাও বলতে হবে, যারা কাজ করে গেছেন আমাদের সঙ্গে, তাদেরও অবদান আছে। তাদেরকে ভুললে চলবে না। যারা কাজ করছেন এখন, তাদের তো অবদান অবশ্যই আছে।”

“দলীয় প্রচেষ্টা মানে কোচিং স্টাফও এটার অংশ। ২৫-৩০ জনের স্কোয়াড আমরা যে আছি, সেখানে ম্যাসাজম্যান, থ্রোয়ার, সবারই অবদান আছে। ওরা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক না করলে আমরা হয়তো ফিট থাকতাম না বা ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারতাম না।”