মালিঙ্গার ১০ বছর পর তাসকিন

গতিময় ও বাউন্সি উইকেট, সহায়ক কন্ডিশন। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মনে করা হয় পেসারদের চারণভূমি। তবে সফরকারী পেসারদের জন্য সবসময় সাফল্যপ্রসবা নয় এই দেশ। এবার তাসকিন আহমেদের ৫ উইকেট দিয়ে যেমন কাটল লম্বা এক খরা। ১০ বছরেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন কোনো সফরকারী পেসার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2022, 03:16 PM
Updated : 23 March 2022, 03:16 PM

সেঞ্চুরিয়নে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং গুঁড়িয়ে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন তাসকিন। সফরকারী পেসারদের মধ্যে সবশেষ এমন সাফল্য পেয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পার্লে লঙ্কান পেস গ্রেট ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৫৪ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে পেস-স্পিন মিলিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ উইকেট শিকারি প্রথম বোলার তাসকিন। এবারের সফরেই প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের ৬১ রানে ৪ উইকেট ছিল আগের সেরা। পেসারদের মধ্যে আগের সেরা ছিল ২০১৭ সালে পার্লে রুবেল হোসেনের ৬২ রানে ৪ উইকেট।

শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় কেন, দেশের বাইরে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি এমনিতেও বিরল বাংলাদেশের পেসারদের জন্য। তাসকিনের আগে এই স্বাদ পেয়েছেন মোটে আর তিন জন।

প্রথম এটি করে দেখাতে পেরেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন সেই সময়ের তরুণ ফাস্ট বোলার। দেশের বাইরে এখনও বাংলাদেশের সেরা বোলিং এটি।

মাশরাফির পর দীর্ঘ অপেক্ষা। সেই খরা কাটে যার হাত ধরে, তার নাম জানলে অবাক হতে পারেন অনেক। ১৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে জিয়াউর রহমানের উইকেট ১০টি, এর মধ্যে ৫টিই নেন এক ম্যাচে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ায়োতে এই অলরাউন্ডার শিকার করেন ৩০ রানে ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ওয়ানডে ছিল সেটি তার। আর কোনো ম্যাচেই তিনি পাননি এক উইকেটের বেশি।

জিয়ার পর ৫ উইকেট নেন যিনি, তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার আরও ছোট। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষেই ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন আবু জায়েদ চৌধুরি। সেটি ছিল তার মাত্র দ্বিতীয় এবং এখনও পর্যন্ত শেষ ওয়ানডে। তাকে বিবেচনা করা হয় টেস্ট বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে, সীমিত ওভারে সুযোগ পান না দীর্ঘদিন ধরেই।

এরপর তাসকিনের হাত ধরে এলো আরেকটি ৫ উইকেট। প্রতিপক্ষ, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়তো দেশের বাইরে বাংলাদেশের সেরা ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্স এটিই।