আইসিসির সব সহযোগী দল টি-টোয়েন্টি মর্যাদা পাওয়ার পর বিচিত্র সব রেকর্ড হচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে। তার আরেকটি নজির দেখা গেল মঙ্গলবার জিসিসি উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ কাপের ম্যাচে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে স্রেফ ১ উইকেট হারিয়ে বাহরাইন তোলে ৩১৮ রান। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, ছেলেদের ২০ ওভারের ক্রিকেট মিলিয়েও সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি।
মেয়েদের আগের রেকর্ড ছিল উগান্ডার। ২০১৯ সালে মালির বিপক্ষে ২ উইকেট হারিয়ে তারা করেছিল ৩১৪ রান। তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহ কেবল এই দুটিই।
আর ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ আফগানিস্তান ও চেক রিপাবলিকের, ২৭৮।
ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে থারাঙ্গার সঙ্গে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন রাসিকা রদ্রিগো (১১ বলে ১৩)। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৫৫ রানের জুটি গড়েন দিপিকা ও থারাঙ্গা।
জুটিতে অগ্রণী ছিলেন দিপিকা। ৪৪ বলে তিনি পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ৩১ চারে অপরাজিত থাকেন ১৬১ রানে। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলির অপরাজিত ১৪৮ ছিল আগের রেকর্ড।
থারাঙ্গা অপরাজিত থাকেন ৫৬ বলে ১৭ চারে ৯৪ রান করে। দিপিকার সঙ্গে তার ২৫৫ রানের জুটি মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ, যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি থেকে স্রেফ ২ রান কম।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আগের রেকর্ড ছিল উগান্ডার প্রসকোভিয়া অ্যালাকো ও রিতা মুসামালির ২২৫ রান, যে ম্যাচটিতে হয়েছিল আগের দলীয় রেকর্ড।
সৌদি আরবের তিন বোলার খরচ করেন ৬০ এর বেশি রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলটি ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে কেবল ৪৯ রান।
বাহরাইন ম্যাচ জিতে নেয় ২৬৯ রানে। যদিও সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড নয় এটি। মালিকে ১০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৩০৪ রানের জয় পেয়েছিল উগান্ডা।