বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সোমবার ৪ উইকেটে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ২৬৫ রান তারা পেরিয়ে গেছে ১১ বল বাকি থাকতে।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের শুরুটা বেশ বাজে হয়েছিল শাহাদাতের। প্রথম চার ম্যাচে করেছিলেন কেবল ৪৪ রান। শেষটিতে শূন্য রানে আউট হলেও তার উপর আস্থা হারায়নি দল। ১৪৫ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংসে ফিরলেন দলকে জিতিয়ে। নিজে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
৯২ রানের ইনিংস দিয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করেন নাঈম। পরের ম্যাচে আরেকটু এগিয়ে করেন ৯৫। এবার ১০৯ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছয়ে থামলেন ৯১ রানে। তার সঙ্গে ২০০ রানের জুটি উপহার দেওয়া রকিবুল হাসান ১২৫ বলে চার ছক্কা ও নয় চারে করেন ১২১ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রুবেল হোসেন ও নাহিদুল ইসলামের ছোবলে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রূপগঞ্জ। নবম ওভারে ২০ রানের মধ্যে হারায় প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে।
ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ সাব্বির রহমান। তাকে বোল্ড করে দেন রুবেল। পরে অভিজ্ঞ এই পেসার একইভাবে বিদায় করেন তানবীর হায়দারকে। বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফেরান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল।
সেখান থেকে শুরু হয় নাঈম ও রকিবুলের লড়াই। দুইজনে উপহার দেন ঠিক দুইশ রানের জুটি। দেলোয়ার হোসেনের বলে নাহিদকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় নাঈমের লড়াই। গড়েন টানা তিন ম্যাচে নব্বইয়ে আউটের বিরল নজির। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি রকিবুল।
শেষ দিকে প্রত্যাশিত ঝড় উঠেনি। তবে চেষ্টা করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
রান তাড়ায় এনামুল হকের সঙ্গে শাহাদাতের উদ্বোধনী জুটি তুলে ফেলে ১২৫ রান। টানা তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা এনামুল স্টাম্পড হলে ভাঙে জুটি। প্রাইম ব্যাংকের কিপার-ব্যাটসম্যান ৬৭ বলে করেন ৫৩।
অভিমান্যু ঈশ্বরন, নাসির হোসেন ও শামসুর রহমান ফেরেন দ্রুত। একপাশ আগলে রাখেন শাহাদাত। মেহেদি হাসান ১৬ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর অলক কাপালী দ্রুত ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।
তবে নাহিদুলকে নিয়ে বাকিটা শেষ করেন শাহাদাত। ৮ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২২ রান করেন নাহিদুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ২৬৫/৫ (সাব্বির ১. তানজিদ ৭, তানবীর ৭, নাঈম ৯১, রকিবুল ১২১, চিরাগ ১০, মাশরাফি ১৯; নাহিদুল ১০-০-১৮-১, রুবেল ৮-১-৫৮-২, রকিবুল ৯-১-৩৭-০, মেহেদি ৮-০-৫৬-০, দেলোয়ার ৬-০-৩৮-১, কাপালী ৯-০-৫৭-১)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮.১ ওভারে ২৬৯/৬ (এনামুল ৫৩, শাহাদাত ১৩১, ঈশ্বরন ১১, নাসির ১৪, শামসুর ৭, মেহেদি ২৫, কাপালী ১, নাহিদুল ২২; নাবিল ১০-০-৩৩-৩, মাশরাফি ১০-০-৬০-১, চিরাগ ৮-০-৩৯-০, সঞ্জিত ৯-০-৬৩-২, মেহেদি রানা ৬-০-৩৮-০, তানবীর ৩-০-২২-০, নাঈম ২-০-১০-০, সাব্বির ০.১-০-৪-০)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহাদাত হোসেন