বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১১১ রানের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী। ৩১০ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দিয়েছে ১৯৮ রানে।
এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে তিনশ করল আবাহনী। এর মূল কারিগর শামীম ৬৬ বলে ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চারে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটসম্যানের আগের সেরা ছিল, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেই ৭১। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৩ ছক্কা ও চারটি চারে ৫৯ বলে ৬৫ রান।
সানির দুর্দান্ত বোলিংয়ে লড়াইও করতে পারেনি সিটি ক্লাব। ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যা বাঁহাতি এই স্পিনারের পঞ্চম পাঁচ উইকেট।
ব্যাটিং উইকেটে সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় আবাহনী। এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তৌহিদ হৃদয়।
তাদের ৭৭ রানের প্রতিরোধ ভাঙে ৬ চারে ৩৭ রান করা নাঈমের বিদায়ে। আফগান ক্রিকেটার নাজিবউল্লাহ জাদরানকে টিকতে দেননি মইনুল ইসলাম। উইকেটে কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেনও।
এক প্রান্ত আগলে রাখা হৃদয়কে ফিফটির আগে থামান জাওয়াদ রোয়েন। ৫ চারে ৪৬ রান করেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।
১৩৮ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এরপর আর বিপদে পড়তে দেননি শামীম ও জাকের। ৪১ বলে ফিফটিতে পা রাখেন শামীম। তাদের জুটি শতরান স্পর্শ করে ৯৪ বলে।
শামীম এরপর যেন ঝড় বইয়ে দেন ১৩ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা সিটি ক্লাবের বোলারদের ওপর। তার পরের পঞ্চাশ আসে কেবল ২২ বলে। খুনে ব্যাটিংয়ে ৬৩ বলে পৌঁছান প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে।
জাকের পঞ্চাশে পা রাখেন ৫৪ বলে। ১২৩ বলে ১৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন দুজন।
রান তাড়ায় সানির দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সিটি ক্লাব। ৩৭ রানে পড়া ওই চার উইকেটের তিনটিই সানির শিকার।
আশিক উল আলম ও মইনুল সোহেল খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান। দুই জনেই করেন ফিফটি, গড়েন ১১৬ রানের জুটি।
২ ছক্কা ও ৮ চারে ৭১ বলে ৭৪ রান করা মইনুল সোহেলকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। এক ছক্কা ও ৪ চারে ৬৭ রান করা আশিককে ফিরিয়ে দেন সানি।
শেষের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। ৪৫ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। রাজিবুল ইসলামকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন সানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ৩০৯/৫ (মুনিম ৩, নাঈম ৩৭, হৃদয় ৪৬, নাজিবুল্লাহ ১২, মোসাদ্দেক ২৪, শামীম ১০৮*, জাকের ৬৫*; আমিনুর ১০-১-৬২-০, হালিম ১০-০-৮৬-১, রোয়েন ১০-২-৩৩-২, রাজিবুল ৩-০-২৫-০, মইনুল ৭-১-২৬-১, সোহেল ৯-০-৫৯-১, মামুন ১-০-৯-০)
সিটি ক্লাব: ৪২ ওভারে ১৯৮ (কমল ৭, শফিউল ০, মইনুল ৫, জেম ১৭, আশিক ৬৭, সোহেল ৭৪, রোয়েন ৮, মামুন ১, রাজিবুল ১২, হালিম ১*, আমিনুর ১; সাইফ ৭-০-৩৫-২, সানি ১০-০-৩৩-৫, তানভীর ৮-০-৪৭-১, মোসাদ্দেক ৯-০-৫৩-১, কামরুল ৬-১-১৯-০, শামীম ২-০-১১-০)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ১১১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শামীম হোসেন