দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোববার টসের পর তামিম বলেন, এখানে সবশেষ সাত ম্যাচের মতো আগে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহ গড়তে চান তারা। কিন্তু ৩৪ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটসম্যানই আউট হন বাড়তি লাফিয়ে ওঠা বলে, পরের জন নিচু হয়ে যাওয়া বলে।
গতিময় আর বাউন্সি উইকেটের দেশ হিসেবেই পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই বলে এমন অসমান বাউন্স থাকবে, তা অন্তত ভাবনায় ছিল না তামিমের।
“দক্ষিণ আফ্রিকায় এলে বাউন্স থাকবে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু আজ ছিল অসমান বাউন্স। যদি আমার আউট দেখেন, পুরো খেলা যদি দেখেন, একটা উপরে উঠছে, গুড লেংথ থেকে একটা নিচে নেমেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে পেস ও বাউন্স থাকবে এটা প্রত্যাশিত। আমার মনে হয়, আজকের বাউন্স অসমান ছিল। উইকেট আসলে দেখে অনুমান করা খুবই মুশকিল যে, অসমান বাউন্স হবে।”
এই মাঠে এর আগে একটিই ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ, সেটিও ২০০৩ বিশ্বকাপে, যেখানে কেনিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এখানে অবশ্য আগে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। যদিও সবগুলোই এক যুগের বেশি আগে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি, অন্যটি পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তিন ম্যাচেই খেলেছিলেন তামিম।
মাঠটিতে খুব বেশি না খেলায় অনেক কিছু তাই পরিসংখ্যান দেখে ধারণা নিতে হয়েছে, বললেন তামিম।
“আমি ১৫ বছর ধরে খেলে সম্ভবত দ্বিতীয় ম্যাচ এখানে খেললাম, একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছিলাম আগে। আমাদের অনেক কিছুর জন্য পরিসংখ্যানেও যেতে হয়। এই মাঠে যদি ইতিহাসটা দেখেন, যে ম্যাচগুলো হয়েছে দল আগে ব্যাট করলে অনেক রান করেছে ও অনেক ম্যাচ জিতেছে।”
“অসমান হবে, এরকম বাউন্স হবে উইকেট দেখে অনুমান করা সম্ভব না। যদি জানতাম তাহলে হয়তোবা আগে ব্যাট করতাম না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও কয়েকটা বল অসমান হয়েছে।”
শুরুর বিপর্যয় সামলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ করতে পারে ১৯৪ রান। ৭ উইকেট ও ৭৬ বল হাতে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা।