‘ফ্ল্যাট পিচে বল করতে না পারলে খেলা ছেড়ে দাও’

কন্ডিশন কিংবা পিচ যেমনই হোক, নিজেদের মেলে ধরতে জানতে হবে স্পিনারদের। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ঘায়েল করতে হবে প্রতিপক্ষকে। সব পরিস্থিতিতে বোলিং করতে না জানলে স্পিনার হওয়ার কোনো কার্যকারিতা দেখেন না সাঈদ আজমল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বল করতে না পারলে, তাদের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বললেন পাকিস্তানের এই সাবেক স্পিনার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2022, 11:48 AM
Updated : 20 March 2022, 11:48 AM

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচই হয়েছে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ছিল একদম নিষ্প্রাণ। দুই টেস্টেই বল হাতে দুই দলের স্পিনাররা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি।

৩৫ টেস্টে ১৭৮ উইকেট নেওয়া আজমলের মতে, উইকেট ফ্ল্যাট এই ভাবনায় মাঠে নামা মানেই অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া। ক্রিকেট পাকিস্তানকে রোববার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্পিনারদের সব কন্ডিশনেই উইকেট এনে দেওয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে।       

“স্পিনাররা যদি পিচের চিন্তা করে এবং এরপর বোলিং করে, তাহলে স্পিনার হয়ে লাভটা কী? স্পিনারদের সব কন্ডিশনে পারফর্ম করা শিখতে হবে। সত্যি কথা বলতে, এগুলো (রাওয়ালপিন্ডি ও করাচির পিচ) ছিল ফ্ল্যাট পিচ, টেস্ট ক্রিকেটে এমন অনেক উইকেটই থাকে।”

“পাকিস্তানে সবসময় স্পিন উইকেট থাকে, বিষয়টি কখনোই এমন নয়। এমনকি যখন আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতাম, আমাদের বল ঘোরাতে হতো, এটা জাদুকরীভাবে হয়ে যায়নি।”

আজমল বাতলে দিলেন ফ্ল্যাট পিচে উইকেট নেওয়ার কৌশল। পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ছাড়াও ১১৩ ওয়ানডে ও ৬৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই অফ স্পিনারের মতে, পিচ নিয়ে অভিযোগ করাদের ক্রিকেট খেলা উচিত নয়।

“উইকেট নিতে হলে দরকার সেই রকম টেম্পারমেন্ট। ব্যাটসম্যানের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলতে হলে ৮-১০ ওভার ভালো বল করতে হবে। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়। যদি কেউ ‘ফ্ল্যাট পিচ’ নিয়ে অভিযোগ করতে চায় তবে তার ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত।”

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু সোমবার, লাহোরে।