৭ উইকেটের হার
ওয়ান্ডারার্সে কেমন বোলিং করতে হবে দেখালেন কাগিসো রাবাদা। কেমন ব্যাটিং করতে হবে সেটা দেখালেন কুইন্টন ডি কক। এই দুই জনের কাছেই যেন হেরে গেল বাংলাদেশ।
সফরকারীদের ১৯৪ রান ৭ উইকেট ও ৭৬ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী বুধবার সেঞ্চুরিয়নে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
তিনটি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। কার্যকর না হওয়ায় পেসারদের দিয়ে খুব বেশি ওভার করাননি তামিম ইকবাল। তিন পেসার মিলে করেন কেবল ১১ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৯৪/৯ (তামিম ১, লিটন ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১১, ইয়াসির ২, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ৭২, মিরাজ ৩৮, তাসকিন ৯*, শরিফুল ২, মুস্তাফিজ ২*; এনগিডি ১০-০-০-০, রাবাদা ১০-০-৩৯-৫, পার্নেল ২.৫-০-৬-১, বাভুমা ৬.১-০-২২-০, শামসি ১০-২-২৬-১, মহরাজ ১০-০-৫৭-০, ফন ডার ডাসেন ১-০-৩-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭.২ ওভারে ১৯৫/৩ (মালান ২৬, ডি কক ৬২, ভেরেইনা ৫৮*, বাভুমা ৩৭, ফন ডার ডাসেন ৮*; শরিফুল ৪-০-২৯-০, তাসকিন ৪-০-৪১-০, মিরাজ ১০-০-৫৬-১, মুস্তাফিজ ৩-০-১৩-০, সাকিব ১০-২-৩৩-১, আফিফ ৫-০-১৫-১, মাহমুদউল্লাহ ১.২-০-৮-০)
বাভুমাকে ফেরালেন আফিফ
চমৎকার ইনিংসের পর বল হাতেও সাফল্য পেলেন আফিফ হোসেন। বিদায় করলেন টেম্বা বাভুমাকে।
অফ স্পিনারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। চমৎকার ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। ভাঙে ১০১ বল স্থায়ী ৮২ রানের জুটি।
৫২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন বাভুমা।
সেই ওভারেই চার মেরে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন কাইল ভেরেইনা, ৬২ বলে।
বিপজ্জনক ডি কককে ফেরালেন সাকিব
কুইন্টন ডি ককের ঝড় থামালেন সাকিব আল হাসান। সীমানায় চমৎকার ক্যাচ নিয়ে এতে বড় অবদান আছে আফিফ হোসেনের।
বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন ডি কক। তবে ডিপ মিডউইকেটে সীমানা দড়ির ঠিক সামনে ক্যাচ নিয়ে, বল ভেতর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বাইরে চলে যান আফিফ। ভেতরে ফিরে ক্যাচ হাতে জমান।
৪১ বলে দুই ছক্কা ও নয় চারে ৬২ রান করেন ডি কক।
১৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৯৮ । ক্রিজে কাইল ভেরেইনার সঙ্গী অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
শুরুর জুটি ভাঙলেন মিরাজ
আগের ওভারে রিভিউয়ে ব্যর্থ হলেও এবার ঠিকই সফল হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ইয়ানেমান মালানকে।
অফে শাফল করে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার। বলের লাইনে যেতে পারেননি। হয়ে যান বোল্ড। ভাঙে ৭৫ বল স্থায়ী ৮৬ রানের জুটি।
৪০ বলে চারটি চারে মালান করেন ২৬।
নতুন ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইনা ‘গোল্ডেন ডাক’ পেতে পেতে বেঁচে যান। অল্পের জন্য ফিল্ডারের কাছে যায়নি ক্যাচ।
১৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৮৬।
দুটি রিভিউই হারাল বাংলাদেশ
একদশ ওভারের মধ্যে দুটি রিভিউ হারাল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ইয়ানেমান মালানের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ।
বোলাদের প্রবল আত্মবিশ্বাসের জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।
এর আগে দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে কুইন্টন ডি ককের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৭৬।
ডি ককের ঝড়ো ফিফটি
পেস কিংবা স্পিন কিছুই ভাবাতে পারছে না কুইন্টন ডি কককে। ২৬ বলে করেছেন পঞ্চাশ, ক্যারিয়ারের ২৮তম।
মেহেদী হাসান মিরাজকে চার ও ছক্কা মারার পর শরিফুল ইসলামের বলে হাঁকান টানা তিন চার। পরে মিরাজকে টানা দুই চার মেরে সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছান পঞ্চাশে।
৯ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৭০।
শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ
অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা কুইন্টন ডি ককের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কেবল ৪৪ বলেই এসেছে উদ্বোধনী জুটি ও দলের পঞ্চাশ। অসমান বাউন্স নিয়ে যেন কোনো দ্বিধা নেই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। চড়াও হয়েছেন বোলারদের উপর।
৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৬০। ২৩ বলে ৪১ রানে খেলছেন ডি কক। ২৫ বলে ইয়ানেমান মালানের রান ১৮।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
দ্বিতীয় ওভারেই একটি রিভিউ হারাল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে কুইন্টন ডি ককের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হলো।
বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৫।
১৯৪ রানে শেষ বাংলাদেশ
৩৪ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশের অবস্থা হতে পারতো আরও খারাপ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সুযোগ হাতছাড়া, ২.৫ ওভার বোলিং করে ওয়েইন পার্নেলের মাঠ ছাড়া আর আফিফ হোসেনের লড়াকু ইনিংসে শেষ পর্যন্ত দুইশ রানের কাছে যায় বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে করে ১৯৪ রান।
৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার কাগিসো রাবাদা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৯৪/৯ (তামিম ১, লিটন ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১১, ইয়াসির ২, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ৭২, মিরাজ ৩৮, তাসকিন ৯*, শরিফুল ২, মুস্তাফিজ ২*; এনগিডি ১০-০-০-০, রাবাদা ১০-০-৩৯-৫, পার্নেল ২.৫-০-৬-১, বাভুমা ৬.১-০-২২-০, শামসি ১০-২-২৬-১, মহরাজ ১০-০-৫৭-০, ফন ডার ডাসেন ১-০-৩-১)
ছক্কার চেষ্টায় আউট শরিফুল
রাসি ফন ডার ডাসেন বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন। ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিলেন শরিফুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই ফন ডার ডাসেনের প্রথম উইকেট।
৪৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১৯০।
রাবাদার শেষ ওভারে জোড়া উইকেট
কাগিসো রাবাদার শেষ ওভার। আরেকটু সময় হয়তো নিতে পারতেন আফিফ হোসেন। কিন্তু প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ায় নিলেন ঝুঁকি। কাজে এলো না তা। ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়লেন বাভুমার হাতে। ভাঙল ১১২ বল স্থায়ী ৮৬ রানের জুটি।
১০৭ বলে৯ চারে ৭২ রান করেন আফিফ।
এক বল পরেই তাকে অনুসরণ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ কাটারে মিড অফে ধরা পড়েন ইয়ানেমান মালানের হাতে। ৪৯ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ৩৮ রান করেন মিরাজ।
৪৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১৮১। ক্রিজে তাসকিন আহমেদের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
শুরুতে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেওয়া রাবাদা ৩৯ রানে নিলেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পেলেন পাঁচ উইকেট। আগেরটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই, অভিষেকে।
এক ওভারে দুই সুযোগ হাতছাড়া
টেম্বা বাভুমার ওভারে লং অনে ইয়ানেমান মালানের হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ জীবন পাওয়ার পর ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন আফিফ হোসেনও। আউট হতে হতেও বেঁচে গেলেন বাংলাদেশের শেষ দুই ভরসা।
মিরাজ জীবন পান ২১ রানে, আফিফ বাঁচেন ৫৯ রানে।
৪১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৫১।
আফিফ-মিরাজের জুটিতে পঞ্চাশ
অসময়ে মাহমদুউল্লাহর বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে লড়াই করছেন আফিফ হোসেন। দুই জনের ব্যাটে ৭৩ বলে এসেছে পঞ্চাশ।
ম্যাচে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্ধশত রানের জুটি। আগেরটিতে আফিফের সঙ্গী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৪৬। ৮৯ বলে ৫৭ রানে খেলছেন আফিফ। ৩৩ বলে মিরাজের রান ২১।
আফিফের দারুণ ফিফটি
দলের ভীষণ বিপদের সময় নেমে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন আফিফ হোসেন।
৭৯ বলে এসেছে তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পঞ্চাশ। স্পিনারদের খুব ভালোভাবে সামাল দেওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে এখন লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদাদের সামালানোর চ্যালেঞ্জ।
৩৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৩৮। আফিফ ৫৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
শামসির ফাঁদে মাহমুদউল্লাহর পা
শুরু থেকে লেগ স্লিপ রেখে বল করছিলেন তাবরাইজ শামসি। বিপদ বুঝে সেদিকে শট খেলছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ফাঁদেই পা দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় ধরা পড়লেন লেগ স্লিপে।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের বলে ব্যাটের কানায় লেগে আসা ক্যাচ হাতে জমান ইয়ানেমান মালান। ভাঙে ৮৭ বল স্থায়ী ৬০ রানের জুটি।
কঠিন সময় পার করে দিয়ে বাজে শটে থামলেন মাহমুদউল্লাহ। তিন চারে ৪৪ বলে তার রান ২৫।
ক্রিজে গিয়েই বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মন্থর ব্যাটিংয়ে ২৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ছুঁয়েছে একশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার মূল পেসাররা আক্রমণ থেকে সরে যাওয়ার পর রান আসছে সহজেই। ৭৪ বলে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন উপহার দিয়েছেন প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে অগ্রণী আফিফ। ৩৫ বলে তিনি খেলছেন ২৫ রানে। ৩৯ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ২২।
২৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৮৫।
মাঠ ছাড়লেন পার্নেল
আগের ওভারে উইকেট নেওয়া ওয়েইন পার্নেল পারলেন না পরের ওভার শেষ করতে। ডেলিভারির ঠিক আগ মুহূর্তে হাল ছেড়ে দেন তিনি। পরে ফিজিও এলে তার সঙ্গে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই পেসার। শেষ বলটি করে অসমাপ্ত ওভার শেষ করেন টেম্বা বাভুমা।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৪৭। ৮ বলে ১১ রানে খেলছেন আফিফ হোসেন। ৬ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ২।
ব্যর্থ মুশফিকও
অসংখ্য ম্যাচে ইনিংস মেরামত করে বাংলাদেশকে বাঁচানো মুশফিকুর রহিমও ব্যর্থ এবার। ওয়েইন পার্নেলের বল ভুল লাইনে খেলে হলেন এলবিডব্লিউ।
বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে আরও বেশি সুইং আশা করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তার প্রত্যাশার চেয়ে সুইং ছিল বেশ কম। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ না নিয়ে ফেরেন মুশফিক।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন।
বাড়তি বাউন্সের সঙ্গে কিছু বল নিচুও হচ্ছে। তাই সারাক্ষণ দ্বিধায় থাকতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। দ্বিধা নিয়ে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি ইয়াসির আলি চৌধুরি। কাগিসো রাবাদার বাড়তি বাউন্সে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন বল। কিন্তু তবুও বাড়তি বাউন্স করা বল তাড়া করতে যান ইয়াসির। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে।
শূন্য রানে জীবন পাওয়া ইয়াসির ১৪ বলে করেন ২।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থ রিভিউ
কাগিসো রাবাদার বলে মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়ায় সফল হননি মুশফিক। আম্পায়ার জোরাল আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন টেম্বা বাভুমা। আল্ট্রা এজে বলে ব্যাটের স্পর্শের কোনো প্রমাণ মেলেনি। পরে আম্পায়ার দেন ওয়াইড।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি হতে পারতো আরও খারাপ। কঠিন সুযোগ দিয়ে একবার বেঁচে যান মুশফিক। শূন্য রানে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ইয়াসির আলি।
১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩০। ১৯ বলে ৯ রান খেলছেন মুশফিক। ১০ বলে ইয়াসিরের রান ১।
বাড়তি বাউন্সে ফিরলেন লিটনও
ওয়ান্ডারার্সের বাড়তি বাউন্সের যেন কোনো থই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারের মধ্যে ফিরে গেলেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। কাগিসো রাবাদার বল অনেকটা লাফিয়ে লিটনের গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ল কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকা বলে আপার কাট খেলার চেষ্টায় সফল হননি লিটন। বল তার প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি লাফিয়ে গ্লাভস ছুঁয়ে হয়ে যায় সহজ ক্যাচ।
২১ বলে ৩ চারে ১৫ রান করেন লিটন।
সেই ওভারেই শূন্য রানে ফিরতে পারতেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। প্রথম স্লিপের ফিল্ডার জমাতে পারেননি ক্যাচ।
৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৭। ক্রিজে ইয়াসিরের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
শূন্যতেই শেষ সাকিব
তামিম ইকবালের পর সাকিব আল হাসানকেও দ্রুত হারাল বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার বল লেগে ঘুরানোর চেষ্টা করেন সাকিব। বাড়তি বাউন্সের জন্য ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় কাভারে। একটু সরে গিয়ে লাফিয়ে মুঠোয় জমান কাইল ভেরেইনা।
৬ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি সাকিব।
৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
বাড়তি বাউন্সের জন্য লুঙ্গি এনগিডির ডেলিভারি ঠিক মতো খেলতে পারলেন না তামিম ইকবাল। ব্যাটের সোল্ডারে লেগে উঠে গেল সহজ ক্যাচ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মুঠোয় জমালেন কেশভ মহারাজ।
তৃতীয় ওভারে ভাঙল বাংলাদেশের শুরুর জুটি। ৪ বলে ১ রান করেন তামিম।
৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৭। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ৩ পরিবর্তন
অসুস্থতার জন্য প্রথম ওয়ানডেতে না খেলা কিপার-ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফিরেছেন একাদশে। তার সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন ওয়েইন পার্নেল ও তাবরাইজ শামসি।
বাদ পড়েছেন এইডেন মারক্রাম, মার্কো ইয়ানসেন ও আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: টেম্বা বাভুমা, ইয়ানেমান মালান, কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, ওয়েইন পার্নেল, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসি, রাসি ফন ডার ডাসেন, কাইল ভেরেইনা
একই একাদশ নিয়ে বাংলাদেশ
টানা পাঁচ ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। সুযোগের জন্য তরুণ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়ের অপেক্ষা আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলি চৌধুরি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আগের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার টস জিতে ব্যাটিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
টসের সময় তিনি জানান, সবশেষ সাত ম্যাচে এখানে টস জিতে আগে ব্যাট করা দল বড় সংগ্রহ গড়েছে। তিনিও এখানে তেমন কিছু করতে চান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামছে বাংলাদেশ
সেঞ্চুরিয়নে জিতে গেরো কেটেছে বাংলাদেশের। এবার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সিরিজ জয়ের। তার জন্য তৃতীয় ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে চায় না দল। কাজ সেরে ফেলতে চায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই। সেই লক্ষ্যেই ওয়ান্ডারার্সে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে তামিম ইকবালের দল।
খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জেতা সম্ভব এই বিশ্বাস নিয়েই সফর করছে বাংলাদেশ। নিজেদের আগের কোনো দল যা পারেনি তা করার আত্মবিশ্বাস তাদের শুরু থেকেই ছিল। প্রথম ম্যাচ জিতে সামর্থ্যের প্রমাণও দিয়েছে। এবার লক্ষ্য আরও বড়, সিরিজ জয়।
গোলাপি জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকা
স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা বাড়াতে এই ম্যাচে গোলাপি জার্সি পরে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেম্বা বাভুমার কাছে এই ম্যাচ তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে তিন বিভাগেই উন্নতি দেখতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। গোলাপি পোশাকে খেলা ৯ ওয়ানডের সাতটিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।