দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয় ইয়াসিরের, কিন্তু প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে যান তিনি। পরের ম্যাচে ব্যাট করতে হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে করেন কেবল ১। তবে তাকে আরও সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন তামিম।
সেঞ্চুরিয়নে ২৯তম ওভারে মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে যান ইয়াসির। পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৮২ বলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় যা বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি। এর উপর ভর করেই দেশটিতে প্রথমবারের মতো তিনশ ছাড়ায় দল।
ইয়াসির ৪৪ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে করেন ৫০ রান।
শেষ পর্যন্ত ৩৮ রানের জয় পাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব জানান, এতো রান হওয়ার পেছনে বড় অবদান ইয়াসিরের ইনিংসের।
“তামিম ও লিটন আমাদের একটা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। এরপর আমাদের পুরানো বলটা কাজে লাগানো দরকার ছিল। ইয়াসির খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তার সঙ্গে আমার জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জুটিতে ওর কৃতিত্ব অনেক।”
শেষ ২০ ওভারে ১৭৯ রান তোলে বাংলাদেশ। সেখানে সাকিব-ইয়াসিরের জুটির সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজদের ছোট ছোট ইনিংসেরও ভূমিকা দেখেন অধিনায়ক তামিম।
“এটা আমাদের জন্য অনেক বড় জয়। যেভাবে দল খেলেছে তার জন্য আমি গর্বিত। ইয়াসিরের ইনিংস ছিল খুবই স্পেশাল। এর সঙ্গে ছোট ছোট কিছু ব্যাপারও ছিল। জয়ে সব কিছুরই ভূমিকা ছিল।”