কেনসিংটন ওভালে বৃহস্পতিবার ৯ উইকেটে ৫০৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ১ উইকেটে ৭১ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট চারটি চারে ৭৯ বলে খেলছেন ২৮ রানে। পাঁচ চারে ব্রুকসের রান ৮৩ বলে ৩১। ক্যারিবিয়ানরা এখনও ৪৩৬ রানে পিছিয়ে।
১৮ মাস ও ২৩ টেস্ট ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেলেন স্টোকস। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই করেছিলেন সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি। এরপর ঘটে গেছে অনেক কিছু।
সেই বছর ডিসেম্বরে হারান বাবাকে। মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যায় সাড়ে চার মাসের মতো বাইরে থাকেন ক্রিকেট থেকে। চোট থেকে সেরে ওঠতে করাতে হয় দুটি অস্ত্রোপচার। কঠিন সেই সময় পেছনে ফেলে নিজের মতো করে খেলে করলেন একাদশ টেস্ট সেঞ্চুরি।
৩ উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। আগের দিন কেমার রোচ, জেসন হোল্ডাররা রানের গতি বাড়াতে দেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। তবে স্টোকসের ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তারা।
আগের দিন শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ড্যান লরেন্স আউট হওয়ার পর সেখানেই খেলা শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন ক্রিজে গিয়েই বোলারদের উপর চড়াও হন স্টোকস। লাঞ্চের আগেই চার ছক্কা ও ১১ চারে ৯২ বলে করেন ৮৯। তার সঙ্গে ১২৯ রানের জুটিতে আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান জো রুট যেন ছিলেন দর্শক হয়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচয়ে বেশি ১২বার দেড়শ ছুঁয়ে অধিনায়ক যেতে পারেননি বেশি দূর।
নিজের নতুন স্পেলের প্রথম বলে চমৎকার এক ডেলিভারিতে রুটকে এলবিডব্লিউ করে দেন রোচ। সঙ্গে স্যার গ্যারি সোবার্সকে পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার সাত নম্বরে উঠে আসেন এই পেসার। ৩১৬ বলে ১৪ চারে রুট করেন ১৫৩।
প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান জনি বেয়ারস্টো থামেন ২০ রানেই। এরপর কিপার-ব্যাটসম্যান ফোকস ও অলরাউন্ডার ওকসের ব্যাটে ৭৫ রানের জুটিতে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১৪ বলের মধ্যে এই দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে জ্যাক লিচ ফিরে গেলে ইনিংস ঘোষণা করেন রুট।
ক্রেইগ ওভারটনের অসুস্থতায় অভিষেক হয়ে যাওয়া ম্যাথু ফিশার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় বলেই পান উইকেট। ফোকসের গ্লাভসে ধরা পড়েন জন ক্যাম্পবেল।
সেঞ্চুরি করে উদযাপনে বাবাকে স্মরণ করেছিলেন স্টোকস। উইকেট নেওয়ার পর উদযাপনে বাবাকে স্মরণ করেন ফিশারও, যাকে তিনি হারিয়েছিলেন ১৪ বছর বয়সে।
বাকি সময়ে কোনো ক্ষতি হতে দেননি ব্র্যাথওয়েট ও ব্রুকস। দুই ব্যাটসম্যানই মনোযোগী সময় কাটানোর দিকে। রানের কথা খুব একটা ভাবছেন না তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৪৪/৩) ১৫০.৫ ওভারে ৫০৭/৯ ইনিংস ঘোষণা ( রুট ১৫৩, স্টোকস ১২০, বেয়ারস্টো ২০, ফোকস ৩৩, ওকস ৪১, ফিশার ০*, লিচ ৪, ; রোচ ১৬-৫-২৮-০, সিলস ১৬-৪-৩০-১, জোসেফ ১৩-১-৫৪-০, পেরমল ২২-১-৬১-১, হোল্ডার ১৮.৫-৪-৫২-১, বনার ১-০-৩-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-০-১৫-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৭ ওভারে ৭১/১ (ব্র্যাথওয়েট ২৮*, ক্যাম্পবেল ৪, ব্রুকস ১*; ওকস ৫-৩-১৭-০, ফিশার ৫-০-১৮-১, লিচ ৯-৪-২১-০, স্টোকস ৩-০-৩-০, সাকিব ৪-০-৩-০, লরেন্স ১-০-৩-০)