বারবাডোজে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪৪ রান। ২৪৬ বলে ১২ চারে ১১৯ রানে ব্যাট করছেন রুট।
কেনসিংটন ওভালে বোলারদের জন্য যা একটু সহায়তা ছিল, সেটা কেবল শুরুতে। এরপর ব্যাটিং তুলনামূলক সহজই ছিল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জ্যাক ক্রলিকে হারায় ইংল্যান্ড। ৭ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার। আগের ম্যাচে অভিষেকে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ অ্যালেক্স লিস এবার ছিলেন সাবধানী। খেলছিলেন দেখেশুনে। ধীরে ধীরে রুটের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার জুটি।
আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান রুট খেলছিলেন নিজের মতো করেই। তবে জেসন হোল্ডারের প্রথম ওভারে তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের কাছে ক্যাচ গেলেও বুঝতে পারেনি স্বাগতিকরা। লাঞ্চের পর চতুর্থ ওভারে ইংলিশ অধিনায়ক ক্যাচ দেন কিপারকে। ঝাঁপিয়েও ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি সিলভা। ক্যারিবিয়ানদের দিতে হচ্ছে এর চড়া মাশুল।
মনে হচ্ছিল কঠিন সময় পার করে দিয়েছেন লিস। তখনই এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। ভিরাস্বামি পেরমলের বল ফ্লিক করার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে থামেন ৩০ রানে। তার ১৩৮ বলের ইনিংসে চার তিনটি। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।
রুট ও লরেন্সের ব্যাটে এরপর এগিয়ে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। মনে হচ্ছিল আর কোনো উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিতে পারবে দিন। কিন্তু শেষ ওভারে হোল্ডারকে টানা দুই চার মারার পর কাভারে ক্যাচ দেন লরেন্স। ভাঙে ১৬৪ রানের জুটি।
১৫০ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় ৯১ রান করেন লরেন্স। অপরাজিত থেকে দলকে টানছেন রুট। ২০২১ সালের শুরু থেকে এই সেঞ্চুরিতে তিনি স্পর্শ করলেন দুই হাজার রানের সীমানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮৯.৫ ওভারে ২৪৪/৩ (লিস ৩০, ক্রলি ০, রুট ১১৯*, লরেন্স ৯১; রোচ ১৬-৫-২৮-০, সিলস ১৬-৪-৩০-১, জোসেফ ১৩-১-৫৪-০, পেরমল ২২-১-৬১-১, হোল্ডার ১৮.৫-৪-৫২-১, বনার ১-০-৩-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-০-১৫-০)