পাকিস্তান অধিয়ায়ক আরও বললেন, আরেকটু বেশি সময় তিনি উইকেটে থাকতে পারলে অসম্ভব এক জয়ের চেষ্টাও তারা করতেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচি টেস্টে ৫০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ দিনে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৩৪ রান। আর মাচ বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হতো ৯০ কিংবা এর বেশি ওভার। আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে বাবরের ২২৮ রানের জুটিতে তারা পেয়ে যায় শক্ত ভিত।
টেস্ট ইতিহাসে যেখানে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই, সেখানে বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের শতরানের জুটিতে একসময় জয়ের সম্ভাবনাও উঁকি দেয়। শেষ ২০ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩১ রান, হাতে তখনও ৬ উইকেট।
তবে দিনের ১২ ওভার বাকি থাকতে আউট হয়ে যান বাবর। ন্যাথান লায়নের পরের বলে ফিরে যান নতুন ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফও। তখন উল্টো পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে রিজওয়ানের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে পারে স্বাগতিকরা।
টেস্টে দুই বছরের বেশি সময়ের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে বাবর ৪২৫ বলে খেলেন ১৯৬ রানের ম্যারাথন ইনিংসটি। ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাটিং করা ইনিংসে ২১ চারের পাশে ছক্কা একটি। টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এটি। একই সঙ্গে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। চতুর্থ ইনিংসে চারশর বেশি বল খেলা চতুর্থ ব্যাটসম্যানও তিনি।
“এই ইনিংসটি আমার কাছে অনেক অর্থপূর্ণ, কারণ এটা দলের প্রয়োজন ছিল। আমরা রান তাড়ার বিষয়ে বাস্তববাদী ছিলাম। চা বিরতি পর্যন্ত আমরা স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম এবং তারপর যদি নিজেদের এমন অবস্থায় পেতাম, যখন আমরা তাড়া করতে পারি, তাহলে করতাম।”
“কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলি, তাই আমরা রান তাড়া করার কথা ভাবিনি। আমাদের ম্যাচ বাঁচাতে হতো। যদি আমি আরও বেশি সময় থাকতাম তাহলে হয়তো আমরা তাড়া করার চেষ্টা করতাম।”
পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারালেও ম্যাচ বাঁচানোর বিশ্বাস পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর তার ছিল, বললেন বাবর।
“রিজওয়ান ও আমি পরিস্থিতির দাবি নিয়ে আলোচনা করছিলাম, কারণ উইকেট নতুন ব্যাটারের জন্য সহজ ছিল না। স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছিল। সাজিদ (খান) ও নুমান (আলি) যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে আমার বিশ্বাস ছিল। ম্যাচ বাঁচাতে তাদের ওপর আমার আস্থা ছিল।”