২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার আসরে প্রথম ম্যাচ। ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে তারা হেরে গিয়েছিল ২১ রানে।
এনগিডি, কাগিসো রাবাদাদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী বোলিং আক্রমণকে গুঁড়িয়ে বাংলাদেশ রান করে ৬ উইকেটে ৩৩০। বিশ্বকাপে যা ছিল দলটির সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
জবাবে দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করেছিল ভালোই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩০৯ রানে থেমে যায় তারা।
এরপর আর দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়নি। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডের সিরিজের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। এখন পর্যন্ত দারুণ খেলে বাংলাদেশ আছে টেবিলের চূড়ায়। আর দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান দশম। ২০২৩ সালে ভারতে হতে যাওয়া বৈশ্বিক আসরে সরাসরি জায়গা পাবে স্বাগতিক ভারতসহ সুপার লিগের শীর্ষ ৮টি দল। ১০ দলের টুর্নামেন্টের বাকি ২ দল আসবে বাছাই থেকে।
“ওয়ানডে দল হিসেবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা বুঝতে পারছি। আমাদের নজর বিশ্বকাপে। এই সিরিজে আমাদের নির্ভুল ক্রিকেট খেলতে হবে, এই ছেলেদের (বাংলাদেশ) বিরুদ্ধে নিখুঁত হতে হবে।”
“আমরা সম্ভবত এই সিরিজের জন্য আরও বেশি মনোযোগী এবং প্রস্তুত। বাংলাদেশ আমাদের হারিয়েছে, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে, ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা আমাদের বিপক্ষে খুবই ভালো খেলেছে। অন্য কোনো দলের বিপক্ষে যেমন নিখুঁত খেলতে চাই, বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেরকম।”
শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। ২০ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম। ২৩ মার্চ তৃতীয় ওয়ানডে আবার সেঞ্চুরিয়নে। সব ম্যাচই দিবা-রাত্রির।