যেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের কোনো অভিজ্ঞতা নেই বরং আছে বড় হারের সব স্মৃতি, সেখানে খেলতে গিয়ে একটু চাপে ভোগাই স্বাভাবিক। শরিফুলের ক্ষেত্রে অবশ্য চিত্রটা ভিন্ন। আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যেতে হবে শুনেই বরং ভীষণ খুশি হয়েছিলেন তিনি। যেখানে বিশ্বজয় করেছিলেন সেখানে ফিরতে কার না ভালো লাগে।
তবে সেই অভিযান আর এই যাত্রা যে এক নয়, ভালো করেই জানেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টেস্ট দলের সদস্য শরিফুল। কিন্তু দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপস্থিতিতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তিনি।
“যখনই শুনেছি দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের সিরিজ আছে, তখনই মনে পড়েছে, ওখানে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। তখন অনেক ভালো লেগেছিল।”
“অবশ্যই আমাদের দল নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দলে এখন অভিজ্ঞ অনেক খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো কিছু করছে, যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে এখান থেকে দেশে ভালো কিছু নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি।”
জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ভীষণ খুশি শরিফুল। উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা মঙ্গলবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বাতায় জানান তিনি। তবে এখানে যে বাড়তি একটা চ্যালেঞ্জও আছে, সেটাও বেশ অনুভব করছেন তরুণ এই বাঁহাতি পেসার।
“বল ক্যারি করেছে, এখানে বোলিং করে ভালো লেগেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সব সময় বোলাররা একটু বাড়তি সহায়তা পায়, এখানে অনুশীলন করে তাই ভালো লেগেছে। উইকেটে ঘাস ছিল।”
“দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসারদের জন্য সহায়তা থাকলেও বোলিংয়ে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে আমাদের হয়তো বাড়তি রান খরচ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করব সাধারণ মৌলিক পরিকল্পনাতেই বোলিং করার। বাকিটা দেখা যাক কী হয়।”
নতুন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড কাজ শুরু করেছেন দলের সঙ্গে। একদিন কাজ করেই মুগ্ধ শরিফুল।
“সকালের নাস্তার সময় চিনতে পেরেছেন, কথা হয়েছে। যখন মাঠে এসেছি, অনুশীলনে উনি আমার রিস্ট পজিশন নিয়ে কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছি, হয়তো কিছু দিনের মধ্যে ঠিক হযে যাবে। আশা করি, ভালো কিছু নিতে পারব উনার কাছ থেকে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সফরে বাংলাদেশ খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট। দেশটিতে ৬ টেস্ট ও ১৪ ওয়ানডে খেলে জয়ের সঙ্গে পরিচয় নেই বাংলাদেশের। তবে এখানে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা।