ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজের চেয়ে আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতই ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে লাল বলের সিরিজে খেলার সিদ্ধান্ত আগেই খেলোয়াড়দের ওপর ছেড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগার গত মাসের শুরুতে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সিরিজটি তাদের খেলোয়াড়দের জন্য হতে যাচ্ছে দেশের প্রতি আনুগত্যের অগ্নিপরীক্ষা।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন মতে, আইপিএলে অংশ নেওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দেওয়া এবং এই সময়ে সিরিজ আয়োজন না করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ডের। এবারের পরিস্থিতি যদিও কিছুটা ভিন্ন। এই বছর ১০ দল নিয়ে আইপিএল হওয়ায় বেড়ে গেছে টুর্নামেন্টটির দৈর্ঘ্য। সঙ্গে একই সময়ে হবে বাংলাদেশ সিরিজ।
তাই ঝামেলায় পড়েছে বোর্ড। ক্রিকইনফোর কাছে দুই বোর্ডের ‘ওই চুক্তির’ কথা বলেছে সিএসএ-এর এক মুখপাত্রও।
“বিসিসিআইয়ের সঙ্গে মূল চুক্তি ছিল যে, আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের আইপিএলের জন্য ছেড়ে দেব। আইপিএল উইন্ডো এখন দীর্ঘ হয়েছে, কিন্তু আমাদের চুক্তি আগের মতোই রয়ে গেছে।”
খবরটি সত্যি হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল সাজাতে পারবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় ধাক্কাটা লাগবে দলটির পেস বোলিং বিভাগে। অভিজ্ঞ পেসার রাবাদাকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও এনগিডিকে দিল্লি ক্যাপিটালস। গত বছরের শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জেতা সিরিজে অভিষেকে দারুণ পারফরম্যান্স করা বাঁহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেন আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।
চোটের কারণে লম্বা সময়ে ধরে মাঠের বাইরে আনরিক নরকিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাকে এমনিতেই না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গতিময় এই পেসারের আইপিএল খেলা নিয়েও আছে শঙ্কা। তাকে মেগা নিলামের আগে ধরে রাখে দিল্লি। রাসি ফন ডার ডাসেন, এইডেন মারক্রাম, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকেও হয়তো পাবে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
মূল পেসারদের অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেতে পারেন লুথো সিপামলা, লিজাড উইলিয়ামস। সঙ্গে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে থাকতে পারেন কেশভ মহারাজ।
আগামী শুক্রবার শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম টেস্ট শুরু ৩১ মার্চ এবং পরেরটি ৮ এপ্রিল।