মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১১৩ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন আবাহানীর বাঁহাতি ওপেনার নাঈম।
টস হেরে মঙ্গলবার ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে গিয়েছিল আবাহনী। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন নাঈম।
গত বিপিএল একদমই ভালো কাটেনি বাঁহাতি এই ওপেনারের। জাতীয় দলের মূল ওপেনার হলেও দলে প্রিয় পজিশনে ব্যাট করার সুযোগ পাননি খুব একটা। কোনো পজিশনেই খেলতে পারেননি কার্যকর কোনো ইনিংস।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, ‘মেন্টালি ডিপ্রেসড’ অবস্থায় আছেন নাঈম। সপ্তাহ না গড়াতেই তাকে রাখা হয় টি-টোয়েন্টি দলে। সেখানে ভালো করতে পারেননি তিনি, দুই ম্যাচে করেন দুই ও ১৩ রান।
জাতীয় দলের অনুশীলনের জন্য তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। দেশে থেকে যাওয়া নাঈমের ব্যাটে দেখা গেল আলোর আভাস।
তৃতীয় ওভারে শফিকুলকে চমৎকার দুই কাভার ড্রাইভে মারেন দুটি চার। সপ্তম ওভারে মারেন আরেকটি।
আরেক প্রান্তে নিয়িমত উইকেট হারানোয় গুটিয়ে নেন নিজেকে। ১৩ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৫ বলে ১৯। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে মূলত এক-দুই রান করে নিয়ে গড়েন জুটি। সপ্তম ওভারের পর তার ব্যাট থেকে বাউন্ডারি আসে ২৩তম ওভারে, ফরহাদ রেজার বলে লং অন দিয়ে।
চারটি চারে ৭৫ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। অধিনায়ক মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর আবার গুটিয়ে নেন নিজেকে। এক সময়ে তার রান ছিল ৯৭ বলে ৬১। শফিকুলকে টানা তিনটি চার মেরে দম দেন রানের গতিতে।
অফ স্পিনার শরিফুল ইসলামকে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মারেন ডিপ মিডউইকেট দিয়ে। বাঁহাতি পেসার শফিকুলকে লং অফ দিয়ে চার মারার পর লং অন দিয়ে ছক্কায় পৌঁছে যান নব্বইয়ের ঘরে।
পরে শরিফুলকে কাট করে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ১১৩ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। এরপর অবশ্য যেতে পারেননি বেশি দূর।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি থামে ১১৫ রানে। তার ১৩২ বলের ইনিংস গড়া ১০ চার ও দুই ছক্কায়। ফরহাদের বলে লং অফে ধরা পড়েন আরিফুল হকের ব্যাটে।