অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ ড্র করে ফেলে বেশ সহজেই। যদিও একসময় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ম্যাচে। শেষ দিনে ৭১ ওভার টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ছিল ক্যারিবিয়ানদের। ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮ রানের মধ্যে। ম্যাচে বাকি ছিল তখনও ৩৬ ওভারের বেশি।
তবে এনক্রুমা বনার ও জেসন হোল্ডারের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট হারায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ড্রয়ের সময় ৬ উইকেট অক্ষতই ছিল তাদের।
এই জুটি জমে ওঠার পর ড্র মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের অধিনায়ক একমত হলে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই ড্র মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এ দিন রুট তা মানতে চাননি। অপেক্ষা করেন তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত।
আক্ষরিক অর্থে বোঝালে, শেষ ওভারে ৬ বলে ৬ উইকেট নেওয়ার আশায় ছিলেন রুট। শেষ ওভারের প্রথম বলটি হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ড্র মেনে নেন।
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের এই টেস্ট দলে নেই কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০১৯ সালে। তবে মাঠের বাইরে থেকে এই খেলা দেখে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিটি স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে।
“আমি যদি ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট কিংবা ড্রেসিংরুমের অন্য কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় হতাম, শেষ ঘণ্টায় তাহলে অস্মানিত বোধ করতাম, যেখানে দুই জন থিতু ব্যাটসম্যান ওভাবে ব্যাট করছে, উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই, সেখানে ইংল্যান্ড ভেবেছে তারা বুঝি শেষ দশ, নয়, আট, সাত, ছয় বলেও ছয় উইকেট নিতে পারবে… পাঁচ বল বাকি থাকা পর্যন্ত খেলেছে।”
“বড় দল হয়ে উঠতে চাইলে বড় দলের মতো করেই ভাবতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়তো এখনও সেই জায়গায় নেই, কিন্তু সেই মানসিকতা থাকতে হবে যে, ইংল্যান্ড কি এই কাজটা অ্যাশেজে করত? কিংবা নিউ জিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে করত? আমার ধারণা, উত্তরটা হবে, ‘না।’ তাহলে তারা কেন আমাদের সঙ্গে এটা করল?”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পথে ফাইনালে চার ছক্কায় হওয়া এই অলরাউন্ডারে আশা, এই ঘটনা তাতিয়ে দেবে ক্যারিবিয়ানদের।
"যদি ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজের) কোনো ধরনের দৃঢ় সংকল্পের প্রয়োজন হয়, আমার ধারণা, খেলার সেই সময়টা তাদের সেটা দেবে।"
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আগামী বুধবার।