ব্রডের চোখে মানকাড এখনও ন্যায়বিরুদ্ধ

ক্রিকেটে মানকাড আউটের বৈধতা ছিল আগে থেকেই। তবে অনেকে এটাকে দেখে চেতনার পরিপন্থী হিসেবে। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এই আউটকে এবার ‘ফেয়ার প্লে’ স্বীকৃতি দিলেও স্টুয়ার্ট ব্রডের কাছে এখনও তা আছে আগের অবস্থানেই। অভিজ্ঞ ইংলিশ পেসারে মতে, এই আউট এখনও ন্যায়বিরুদ্ধই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2022, 11:30 AM
Updated : 10 March 2022, 11:30 AM

বোলার ডেলিভারি দেওয়ার আগেই নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী তাকে আউট করতে পারেন বোলার। ১৯৪৭ সালে একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন ভারতের ভিনু মানকড়। তার নামের ইংলিশ বানান অনুযায়ীই এই আউটের নামকরণ করা হয়।

ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরানোর কৌশল হিসেবে এই আউট করার দৃশ্য এরপরও দেখা গেছে নানা সময়ে। তবে শুরু থেকেই মানকাড আউট নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে অনেক।

অবশেষে বুধবার এসব কিছু থামিয়ে দেয় ক্রিকেট আইনের অভিভাবক এমসিসি। ক্রিকেট আইনেও মানকাড অন্তর্ভুক্ত ছিল ৪১ ধারায় (আনফেয়ার প্লে)। সেটাকে সরিয়ে এবার নেওয়া হয় ৩৮ ধারায়, রান আউট।

তবু মানকাড নিয়ে আপত্তি কমছে না ব্রডের। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি বুধবার টুইট করে এই বিষয়ে তুলে ধরেন নিজের ভাবনা।

“তাহলে মানকাড আর অন্যায় কিছু নয়, এখন আইনসিদ্ধ আউট। এটা কী সবসময় বৈধ ছিল না? নাকি এটা ন্যায়বিরুদ্ধ কি না তা মতামতের ওপর নির্ভর করে?”

“আমার কাছে এটা ন্যায়বিরুদ্ধ এবং আমি এটাকে (ন্যায্য) বিবেচনা করব না। আমার মতে, একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করা দক্ষতার বিষয়, আর মানকাডে কোনো দক্ষতা লাগে না।”

মানকাড আউটকে ‘ফেয়ার প্লে’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এমসিসিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার।

২০১৯ সালের আইপিএলে জস বাটলারকে এভাবে আউট করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাকে ট্যাগ করে টুইট করেন আরেক ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট বিরেন্দর শেবাগ।