ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের এই দুরাবস্থা চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি ম্যাচে মোটামুটি মানের হয় ফিল্ডিং। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় গড়পড়তা মানেরও নিচে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একগাদা ক্যাচ ছাড়ার পর ফিল্ডিং কোচ বদলানো হয়। লাভ হয়নি তাতে।
সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন রাজিন সালেহ, বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা ফিল্ডারদের একজন বলে মনে করা হয় তাকে। এই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাখ্যাতীত রকমের সহজ সব ক্যাচ পড়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত থেকে।
তামিম এখানে কোচের কোনো দায় দেখছেন না। নিজেদের ভুলই তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, উন্নতির পথ খুঁজছেন তারা।
“ফিল্ডিং নিয়ে অবশ্যই আমি উদ্বিগ্ন। এখানে উন্নতি করতেই হবে, লুকানোর কিছু নেই। যে কোনো সংস্করণে ভালো করতে হলেই ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে হবে আমাদের। এটা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলছি। কিন্তু সবশেষ ৩-৪ বছর যদি দেখেন বা সিরিজগুলো, ফিল্ডিং আমাদের সমস্যায় ফেলছে। আমাদের এটা নিয়ে সিরিয়াসলি বসতে হবে এবং একটা পথ বের করতে হবে যে কিভাবে উন্নতি করতে পারি।”
“অনুশীলনে যদি বলেন বা কোচদের কথা, তারা তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করছেন। এই সিরিজে রাজিন ভাই (রাজিন সালেহ আলম) ফিল্ডিং কোচ ছিলেন, তিনি দারুণ কাজ করেছেন। কিন্তু আমাদের ভুল যে আমরা মিস করেছি। আমাদের তাই উন্নতির পথ বের করতে হবে। যত দ্রুত এখান থেকে বের হতে পারি, আমাদের জন্য তত ভালো।”
ফিল্ডিংয়ে উন্নতির চেষ্টায় এবার নতুন ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমটকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। এই মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়েই শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ান এই কোচের দায়িত্ব।