জালাল ইউনুসের সঙ্গে ফোনালাপে বুধবার সাকিব জানান, এই মুহূর্তে ক্রিকেট খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি ‘আনফিট।’ গত রোববার দুবাই যাওয়ার আগে এই বিসিবি পরিচালকের সঙ্গে কথোপকথনেও একই কথা বলেছিলেন সাকিব। পরে নিজের মানসিক অবস্থার কথা বিস্তারিত বলেছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সবকিছু বিবেচনা করে তাকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি।
তার বিশ্রাম বা ছুটি এবারই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগেই টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিরতি চান তিনি। তখন তাকে শুধু এই সফর থেকে ছুটি দেয় বোর্ড। গত বছর মে মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট খেলতে যাননি তিনি আইপিএল খেলার জন্য। গত ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডে যাননি পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়ে। ২০১৯ সালেও নিউ জিল্যান্ডে যাননি তিনি পারিবারিক কারণে।
গত নিউ জিল্যান্ড সফর আর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, দুবারই সাকিব ছুটি পেলেন দল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর। সাকিবের ছুটি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে জালাল ইউনুস বললেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে দায়িত্বশীয় আচরণ আশা করেন তারা।
“এসব ভালো উদাহরণ নয়। এটা আমরা স্বীকার করি। কারণ আরও অনেক ক্রিকেটার আছে, তারা সিনিয়রদের অনুসরণ করেন। আমরাও চাইব, সিনিয়রদের ইতিবাচক ‘ভাইভ’ হওয়া উচিত।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে না চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের ক্ষেত্রেও শুরুতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি সাকিব। রোববার দুবাই যাওয়ার আগে ফোনে তিনি জানান জালাল ইউনুসকে। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন অনেক কিছু। এসবও বিসিবি ভালোভাবে নেয়নি বলে জানালেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।
“মিডিয়ার কাছে বলার আগে আমাদের কাছে আসা উচিত ছিল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা প্রেসিডেন্ট সাহেব তাকে বলেছেন। সেও জানে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। হতে পারে, হিট অব দা মোমেন্ট ওখানে অনেক কিছু বলতে পারে সে। এর প্রেক্ষিতে আমরা কী করতে পারি… তাকে আগে আসতে দিন। কথা বলে দেখব।”