আইসিসি বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালানাগাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট, পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ও বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে জাদেজা এগিয়েছেন দুই ধাপ। তার উত্থানে শীর্ষস্থান হারিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন জেসন হোল্ডার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শীর্ষে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
জাদেজার রেটিং পয়েন্ট এখন ৪০৬, হোল্ডারের ৩৮২। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে ভালো পারফর্ম করে রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে হোল্ডারের সামনে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে উঠলেন জাদেজা। ২০১৭ সালের অগাস্টে এক সপ্তাহের জন্য চূড়ায় ছিলেন ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।
দুই থেকে তিনে নেমে গেছেন তার স্বদেশি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান যথারীতি চার নম্বরে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ছয়ে নেমে যাওয়ায় পাঁচে উঠেছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।
ভারতের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের টেস্টে একমাত্র ইনিংসে সাত নম্বরে নেমে জাদেজা খেলেন অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস। দলটির হয়ে সাত বা এর নিচে নেমে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি। আগের রেকর্ড ছিল কপিল দেবের ১৬৩ রান।
পরে বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে জাদেজা গড়েন আরেক কীর্তি। একই টেস্টে ব্যাটিংয়ে ১৫০ বা এর বেশি রানের ইনিংস ও বোলিংয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ষষ্ঠ ক্রিকেটার তিনি।
টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাট হাতে ১৫০ বা এর বেশি রানের ইনিংস খেলা ও ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনাও জাগান জাদেজা। কিন্তু অল্পের জন্য হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। লঙ্কানদের শেষ দুই উইকেটের একটি পেলেই অনন্য কীর্তিটি গড়া হয়ে যেত তার।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫৪ থেকে উঠে এসেছেন ৩৭ নম্বরে।
ওই ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলা কোহলি এগিয়েছেন দুই ধাপ। একমাত্র ইনিংসে ৪৫ রান করা সাবেক ভারত অধিনায়ক আছেন পাঁচ নম্বরে। ৯৬ বলে ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা কিপার-ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত এক ধাপ এগিয়ে ১০ নম্বরে আছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে ক্যারিয়ার সেরা ৬৩তম স্থানে আছেন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল-হক। প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানের ইনিংস খেলা দেশটির সাবেক অধিনায়ক আজহার আলি ১০ ধাপ এগিয়ে ১২ নম্বরে আছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ২৭ ধাপ এগিয়েছেন, আছেন ৬৭তম স্থানে। একমাত্র ইনিংসে ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান। তার রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৯৩৬। নম্বইয়ের ঘরে আউট হওয়া আরেক ব্যাটসম্যান উসমান খাওয়াজা ছয় ধাপ এগিয়ে ২৪তম স্থানে আছেন। গত তিন বছরে তার সেরা অবস্থান এটি।
টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন যথারীতি অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে আফগানিস্তানের জয় নিয়ে ফেরা ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ছয় ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে আছেন। এখানে শীর্ষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
এই সংস্করণে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি ও অলরাউন্ডারদের তালিকায় আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি চূড়ায় আছেন।
গায়ানার উইকেটে স্পিনে সুবিধা দেখছেন মাহমুদউল্লাহ
বাংলাদেশের বোলিংয়ে অধিনায়কের অগাধ আস্থা
প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সিরিজ
টি-টোয়েন্টি লিগের ইতিবাচক প্রভাব দেখছেন অরবিন্দ ডি সিলভা
অনেক রদবদলের ওয়ানডে দলে অধিনায়ক ধাওয়ান
‘ব্যাটিংকে খুব সহজ করে ফেলেছে রুট-বেয়ারস্টো’
৬ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশের বাইরে কোহলি
শাস্তি পেল বাংলাদেশ দল
