ম্যাচের পর ম্যাচ, টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট চলে যায়, কিন্তু ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পায় না বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেছিলেন, কারণটা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো নিশ্চিত নন, এতো অনুশীলনের পরও ক্যাচ ধরতে না পারার কারণ আসলে কী।
গলদ কোথায়? মনসংযোগে ঘাটতি নাকি টেকনিকে সমস্যা, নাকি চাপের সময় হয়ে যায় গড়বড়- বের করতে হবে ম্যাকডারমটকে। আগেও জাতীয় দলের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় ইতিবাচক ছাপ রাখার ব্যাপারে আশাবাদী ৪১ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান।
“২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যেখানে অ্যাকাডেমি, জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলে কঠোর পরিশ্রম করেছি, সেখানে আবার ফেরাটা হবে দারুণ। সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লাহসহ ছেলেদের সঙ্গে আবার কাজ করব। অসাধারণ একটি কোচিং স্টাফ গ্রুপের সঙ্গে কাজ করাটা হবে রোমাঞ্চকর। সেখানে রাসেল ডমিঙ্গো, অ্যালান ডোনাল্ড আছেন।”
সবশেষ ম্যাচেই তিনটি সহজ ক্যাচ ছুটেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত থেকে। ম্যাকডারমট জানালেন, এখানটায় উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করবেন তিনি।
“আমি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব, যেন ফিল্ডিং ইউনিট হিসেবে মাঠে আমরা সব সময় আমাদের সেরা চেষ্টাটা করার। আমরা জানি, কখনও কখনও ফিল্ডিং ম্যাচ জেতাতে কিংবা হারাতে পারে। আমার লক্ষ্য হবে হারার চেয়ে বেশি জেতা। আমি দলে যোগ দেওয়ার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিযে কাজ শুরু হবে ম্যাকডারমটের। থাকবেন আগামী বছরের নভেম্বর পর্যন্ত।
গত অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যাচিংয়ে ব্যর্থতার জন্য ফিল্ডিং কোচ কুকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি বাংলাদেশ। পরের দুটি সিরিজে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করেন মিজানুর রহমান বাবুল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিং কোচ ছিলেন রাজিন সালেহ। এবার ফিল্ডিংয়ে উন্নতির লক্ষ্যে আরেকজন কোচের সঙ্গে কাজ করবেন ক্রিকেটাররা।