আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ২৫ নম্বরে আছেন নাঈম। তার ওপরে নেই বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান। তার নিচে ৩৪ নম্বরে আছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
গত বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানও আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। তবে তাকে নিয়ে প্রশ্ন মূলত স্ট্রাইক রেটের জন্য। গত বছর ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন তিনি কেবল ১০০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে।
পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারার একটা বড় কারণ তার মন্থর ব্যাটিং। ফিল্ডিং ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার পরও পারেন না গ্যাপ খুঁজে রানের গতি বাড়াতে। তাই তার ইনিংসগুলো সত্যিকার অর্থে কতটা দলের কাজে আসে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
গত বিপিএলে নাঈমের ব্যাটিং ছিল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ধাঁধা হয়ে। মিনিস্টার ঢাকার হয়ে ওপেন করার সুযোগই তিনি সেভাবে পাননি। তাদের হয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শাহজাদ। নাঈম কখনও তিনে, কখনও চারে, এমনকি সাত-আটেও খেলেন। পারফর্ম করতে পারেননি কোনো জায়গায়।
এক ম্যাচে তিনে নেমে ১৫ রান করতে খেলেন ৩০ বল! একাদশে জায়গাও হারান এক পর্যায়ে। শেষ ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পেয়ে করেন ৯ বলে ৬ রান। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৭ ইনিংস খেলে তার রান ৫০।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ‘মেন্টালি ডিপ্রেসড’ কারণ দেখিয়ে বাদ দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। এরপর এক সপ্তাহ পার না হতেই তাকে রাখা হয় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে। ব্যর্থ হলেন তিনি দুই ম্যাচেই।
প্রথমটিতে নাঈম ৫ বলে করেন ২ রান। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে রান আউট হন ১৯ বলে ১৩ রান করে। দুই ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ৬২.৫০।
এই সংস্করণে আগের সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১ ও ২। তৃতীয় ম্যাচে ৪৭ রান করতে পারলেও বল খেলেন ৫০টি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা নিয়ে নিত্য উঠছে প্রশ্ন।
মিরপুরে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো অবশ্য ব্যাট ধরলেন নাঈমের হয়ে। বললেন, ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়ার ভাবনা তাদের নেই।
“৫ ম্যাচ আগে আমার ধারণা, বলা হচ্ছিল লিটনকে বাদ দেওয়া উচিত। ৫ ম্যাচে এখন বলা হচ্ছে, লিটন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। কখনও কখনও খেলোয়াড়দের খেলায় ছন্দপতন ঘটে। সে সময় কোচ ও নির্বাচকদের সেই খেলোয়াড়ের পাশে থাকতে হয়। এটা কোচিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। একটা দল গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।”
“সব সময় সবাই রান করবে না। কেউ কেউ বাজে সময়ের মধ্য দিয়েও যাবে। নাঈমকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। সে টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কধারী ব্যাটসম্যান। দলে থাকাটা তার প্রাপ্য।”
আইসিসি সফরসূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশের পরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী জুন-জুলাইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ক্যারিবিয়ানে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে তারা খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি।