জয়ের তাড়না না দেখে ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলছিল তখন। পাশেই জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও তাদের আলোচনা যেন থামে না! আলোচনার মূল বিষয় যে সদ্য হেরে যাওয়া দলকে নিয়ে ছিল, সেটা পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেই জানালেন বোর্ড প্রধান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলোয়াড়দের মাঝে জয়ের তাড়না দেখতে না পেয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2022, 02:53 PM
Updated : 5 March 2022, 02:53 PM

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৬১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ জাগিয়েছিল সিরিজ জয়ের আশা। ১৫৫ রানের পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিংয়ে তারা প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিয়েছিল ৯৪ রানে। কিন্তু শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে ধুঁকতে করতে পারে ১১৫ রান। এই সংস্করণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর এটি। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে দলে ফেরা মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলাররা কিছুটা লড়াই করেন বটে। কিন্তু ফিল্ডিং হয় বাজে, ক্যাচ পড়ে তিনটি।

প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদ নিজের বলেই ফেলে দেন হজরতউলাহ জাজাইয়ের সহজ ক্যাচ। শূন্য রানে জীবন পেয়ে ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ৪৭ রান করা উসমান গনির দুটি ক্যাচ ফেলেন দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

৮ উইকেটের জয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করে সফরকারীরা।

এদিন খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় যেন ছিল না লড়াইয়ের তাড়না। নাজমুলও তুলে ধরলেন সেটিই। বললেন, এমন পারফরম্যান্স মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি।

“আজকে প্রথম থেকে শুরু করে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং…আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, প্রথম ম্যাচে জেতার মতো যে স্পিরিট নিয়ে তারা নেমেছিল, যে মনোযোগ, যে ইনটেনসিটি ছিল, আজকে সেটা মনে হয়নি। একদম প্রথম থেকেই মনে হয়নি। এটা হওয়া উচিত নয়। আমি এটা নিয়ে কথা বলব। আমি সঙ্গে সঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজনকে বলেছি, সে যেহেতু দলের সঙ্গে থাকে। ‘এটা এরকম হলো কেন, আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, তুমি সবার সঙ্গে কথা বলো, এই পারফরম্যান্স গ্রহণযোগ্য নয়।’ কোনোভাবেই না।”

হার নিয়ে আক্ষেপ নেই নাজমুলের। ক্যাচগুলো ফেলে দেওয়ার ব্যাপারটিই বেশি পোড়াচ্ছে বোর্ড প্রধানকে। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা খেলার মধ্যে ছিলেন বলে মনে হয়নি তার।

“আজকে ধরেন, একটা খারাপ দিন গেছে। আজকে যদি লিটন দাস প্রথম ম্যাচের মতো রান করে যেত, সমস্যা হতো তাহলে? সাকিব কিছু রান করলে সমস্যা হতো? ১৩০-১৪০ হলেও তো লড়াই করা যেত। হারতেই পারে। একদিন খারাপ ব্যাটিং হতেই পারে। তারপরও আমি মনে করি তিন-চারটা সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়া, এটা দেখতে খুব বাজে লাগে। হারা-জেতাটা বড় কথা না। কিন্তু যে সমস্ত ক্যাচ ফেলেছে। তাতে করে মনেই হচ্ছিল না যে, এরা খেলার মধ্যে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টকর।”