ওয়ার্নের নামে এমসিজির সাউদার্ন স্ট্যান্ড

জন্ম, বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটে পথচলার শুরু, সবই মেলবোর্নে। ক্যারিয়ারে মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে অনেক ম্যাচ খেলেছেন শেন ওয়ার্ন। গড়েছেন কত কীর্তি। সেখানে তার নামটি এবার পাকাপাকিভাবে জুড়ে যাচ্ছে। অসীম শূন্যতায় পাড়ি জমানো কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের সম্মানে রাখা হচ্ছে এমসিজির একটি স্ট্যান্ডের নাম।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2022, 10:56 AM
Updated : 5 March 2022, 10:56 AM

ভিক্টোরিয়ার পর্যটন ও ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা নিশ্চিত করেছেন, দা গ্রেট সাউদার্ন স্ট্যান্ডের নাম বদলে রাখা হবে এস.কে ওয়ার্ন স্ট্যান্ড। চিরস্থায়ীভাবে এমসিজিতে থাকবে ওয়ার্নের নামে এই স্ট্যান্ড।

“আমরা গ্রেট সাউদার্ন স্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে এস.কে ওয়ার্ন স্ট্যান্ড করব এবং যত দ্রুত সম্ভব এটা করার চেষ্টা করব। এস.কে ওয়ার্ন স্ট্যান্ড নামকরণের মাধ্যমে এই রাজ্যের সেরা ক্রিকেটারকে এর চেয়ে ভালোভাবে সম্মান জানানোর উপায় আমি দেখি না।”

“ভবিষ্যতে এই স্ট্যান্ডের সঙ্গে যা কিছুই ঘটুক না কেন, এটাকে পুনর্নির্মাণ, সংস্কার, যেটাই করা হোক না কেন, এটা চিরস্থায়ীভাবে এস.কে. ওয়ার্ন নামে থাকবে, কারণ কিংবদন্তি চিরকাল বেঁচে থাকবে।”

১৯৬৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভিক্টোরিয়ার ফের্নট্রি গালিতে জন্ম নেওয়া ওয়ার্ন শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের থাইল‍্যান্ডের কোহ সামুইয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত‍্যুর কারণ হার্ট অ‍্যাটাক।

লেগ স্পিন শিল্পকে অন্য উচ্চতায় তোলা ওয়ার্ন টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০৮ উইকেট শিকারি। ক্যারিয়ারে একটি মাত্র হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। সেটাও মেলবোর্নের মাঠে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে। ২০০৬ সালে বক্সিং ডে টেস্টে এখানেই ক্যারিয়ারের ৭০০তম উইকেটটি নেন ওয়ার্ন।

অনেক আগেই মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠের বাইরে বানানো হয়েছে তার বোলিং মুহূর্তের একটি ভাস্কর্য। সেখানেই শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করছেন ভক্তরা। ফুল, ক্রিকেট বল রেখে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন কিংবদন্তির প্রতি। বর্ণময় চরিত্রের ওয়ার্ন ধূমপান করতে ভীষণ পছন্দ করতেন। তাইতো তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সিগারেটের প্যাকেট ও বিয়ারের ক্যানও রাখছেন ভক্তরা।

৫২ বছরে বয়সেই ওয়ার্নের এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তার মৃত্যুর খবরে সবার মুখে যেন একটাই কথা, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না’।

রাজ্যের পক্ষ থেকে ওয়ার্নের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ভিক্টোরিয়ার প্রধান ড্যানিয়েল অ্যাড্রুস ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এজন্য তার পরিবারকে সময় দেওয়া হয়েছে।