গত বিপিএলে নাঈমের ব্যাটিং ছিল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ধাঁধা হয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়ার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন ‘মেন্টালি ডিপ্রেসড।’ এরপর এক সপ্তাহ পার না হতেই রাখা হয় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে। এখন টিকে যেতে পারেন একাদশেও।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে, মাহমুদউল্লাহ দৃঢ়ভাবেই দাঁড়ালেন নাঈমের পাশে।
“আপনি যদি গত বছরের পরিসংখ্যান দেখেন, সে সম্ভবত আমাদের দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিল। হয়তো বিপিএলে ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি, আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম। সে খুব ভালো একজন খেলোয়াড়, আামার বিশ্বাস, সে ভালোভাবেই ফিরে আসবে। সে পথেই আছে।”
অধিনায়কের কথা ঠিক, গত বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকেই। তবে তাকে নিয়ে প্রশ্ন মূলক স্ট্রাইক রেটের জন্য। গত বছর ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন তিনি কেবল ১০০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে।
সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে তিনি করেন ১ ও ২। তৃতীয় ম্যাচে ৪৭ রান করতে পারলেও বল খেলেন ৫০টি। আরও বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল বিপিএলে।
বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে ওপেন করার সুযোগই তিনি সেভাবে পাননি। তাদের হয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শাহজাদ। নাঈম কখনও তিনে, কখনও চারে, এমনকি সাত-আটেও খেলেন। পারফর্ম করতে পারেননি কোনো জায়গায়। এক ম্যাচে তিনে নেমে ১৫ রান করতে খেলেন ৩০ বল! একাদশে জায়গাও হারান এক পর্যায়ে। শেষ ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পেয়ে করেন ৯ বলে ৬ রান। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৭ ইনিংস খেলে তার রান ৫০।
তবে বিপিএলে ভালো করতে পারেননি বলে নাঈমকে বাদ দেওয়ার পক্ষে নন মাহমুদউল্লাহ, যিনি ছিলেন মিনিস্টার ঢাকারও অধিনায়ক।
“বিপিএলের কম্বিনশন আর জাতীয় দলের কম্বিনেশন দুটো দুই ধরনের ব্যাপার। যদি বিপিএলের কম্বিনেশন খেয়াল করে থাকেন, তখন তামিম ছিল, শাহজাদ ছিল। সেই কারণে, আমি চাচ্ছিলাম হয়তো নাঈম তিনে খেললে ভালো হবে। কিন্তু যখন আমরা ভালো শুরু পেয়েছি তখন আমি কিংবা অন্য কেউ উপরে চলে গেছে। এটা নির্ভর করে, ম্যাচ কোন দিকে যাচ্ছে বা আমরা কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছি।”
“বিপিএলে প্রতিদিন খেলা ছিল ভিন্ন প্রতিপক্ষের সঙ্গে। এখানে আপনি জানেন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন, মাঝের ওভারগুলোতে কারা বোলিং করবে বা কারা শেষে বোলিং করবে। এই জিনিসগুলোর মোটামুটি ছক কষা থাকে। সেটার উপর নির্ভর করে কম্বিনেশন ঠিক করা প্রয়োজন। যারাই আছে, আমি আশা করি, তারাই ভালো করবে।”